কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, আমাদের জেলায় এবারে গম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। তবে আমরা চাষিদের কিছু বীজের কথা বলেছি। সেই বীজ দিয়ে গম চাষ করলে গমের ঝলসা রোগ হবে না। এনিয়ে জেলার আটটি ব্লকে আমরা ব্যাপক প্রচার করছি। যদি একবার ঝলসা রোগে গম গাছ আক্রান্ত হয় তবে জেলায় গম চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এবারে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হতে পারে। কৃষকদের ডিবিডব্লু ১৮৭ এবং ১৭৩, এইচবি ২৯৬৭ এবং ২৯৪৩ প্রজাতির বীজ দিয়ে গম চাষ করতে বলছি। এই গম বীজগুলি ঝলসা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজ্যের মধ্যে গম উৎপাদনে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের পরেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে। একবার ঝলসা রোগ হলে জেলায় গম চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। সেকারণে আমরা কৃষকদের সচেতন করছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গম চাষের জন্য সরকারি সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ ভারতবর্ষের দুই শতাংশ গম এই রাজ্যে উৎপাদন হয়।
গম চাষিদের একাংশের অভিযোগ, জেলায় তেমন ভাবে গমের বীজ পাওয়া যায় না। গ্রামের অধিকাংশ কৃষক নিজেদের উৎপাদিত গমই বীজ হিসেবে ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে গমে ঝলসা রোগ আটকানোর জন্য কৃষিদপ্তর যদি কোনও সাহায্য না করে তবে গ্রামের কৃষকরা কোথায় যাবে? কৃষিদপ্তরের মাধ্যমে গমের বীজ দেওয়া দরকার। সেইসঙ্গে কৃষিদপ্তরের পরামর্শ, কৃষিদপ্তর থেকে কীটনাশক দিলে তবেই জেলায় ঝলসা রোগ আটকানো যেতে পারে। শুধুমাত্র প্রচার করে ও কৃষকদের বলে আদতে কোনও লাভ হবে না। নয়ত কৃষকরা যে যার মতো করে গম বীজ দিয়ে গম চাষ করবেন। এতে ঝলসা রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে।