মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
পরিমলবাবু অবশ্য বলেন, পুরসভার কাজে ব্যস্ত থাকায় দলীয় ওই কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। এর পেছনে অন্যকোনও কারণ নেই। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, দলের সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে পরিমলবাবু একজন। হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। ওঁর সঙ্গে দলের কোনও সমস্যা হয়নি।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রদান, কৃষকদের ফসলের দাম, জমির পাট্টা, বেকারদের কাজ সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কয়েকদিন আগে কোচবিহার ও মালদহ থেকে দু’টি লংমার্চের সূচনা হয়। সিটু সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন একজোট হয়ে এই কর্মসূচি নেয়। এদিন শিলিগুড়ি শহরের বাঘাযতীন পার্কে সংশ্লিষ্ট দু’টি র্যা লি মিলিত হয়। সভায় সিপিএমের রাজ্য নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশবাবু, সিটুর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, অনাদি সাহু, আরএসপির শ্রমিক নেতা অশোক ঘোষ প্রমুখ ছিলেন। শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের ভোটের আগে সিপিএম নিয়ন্ত্রিত বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির এই জমায়েত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সিপিএম নেতাদের একাংশ এনিয়ে উচ্ছ্বসিতও।
জীবেশবাবু বলেন, এদিনের কর্মসূচি সফল হয়েছে। জনসভায় ব্যাপক মানুষ এসেছিলেন। এখনও মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। এর প্রভাব পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে পড়বেই।
অন্যদিকে জনসভায় গরহাজির ছিলেন পরিমলবাবু। তিনি দলের উদ্বাস্তু কমিটির জেলা সম্পাদক। এরবাইরে বস্তি উন্নয়ন কমিটি, শ্রমিক সংগঠন সহ বিভিন্ন গণসংগঠনে রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে পরিমলবাবু সিপিএম পার্টিতে শামিল হন। প্রায় ৪০ বছর আগে পার্টির মেম্বারশিপ পান। অতীতে লোকাল ও জোনাল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা শহরে থেকেও শ্রমিক সংগঠনের জনসভায় যোগ দেননি। তিনি যখন পুরভবনে বসে একের পর এক মিটিং করছিলেন, তখন সেই ভবন থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বাঘাযতীন পার্কে জনসভা হচ্ছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলেন, কয়েকদিন আগে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন পরিমলবাবু। তাঁর গরহাজিরা নিয়ে পুরকর্তৃপক্ষ সেদিন স্পষ্ট কোনও কিছু জানাতে পারেনি। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে চাউর হয়েছিল, দলে কয়েকজনের সঙ্গে পরিমলবাবুর মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই ওই দিন বোর্ড মিটিংয়ে আসেননি। তিনি নাকি দলের কিছু পদও ছেড়ে দিয়েছেন। পরিমলবাবু অবশ্য ওই বক্তব্য মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, কাজের জন্যই যাইনি।