মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, উদ্ধার হওয়া রাইফেলসহ ধৃতদের মণিপুর থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসব আমরা। উদ্ধার হওয়া রাইফেল ফরেন্সিক তদন্তে পাঠানো হবে।
মণিপুর পুলিসের সঙ্গে তদন্তে নেমে রাজ্য বন দপ্তর জানতে পেরেছে, জলদাপাড়ায় ওই গণ্ডার হত্যার ঘটনায় আট জন চোরাশিকারী যুক্ত ছিল। তদন্তে বন দপ্তর এও জানতে পারে যে গুলি করে হত্যা করা গণ্ডারটির খড়্গ ইতিমধ্যেই বিদেশের বাজারে পাচার হয়ে গিয়েছে। ওই খড়্গ উদ্ধার অসম্ভব বলেই মনে করছে বন দপ্তর।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি ওই গণ্ডারটির খড়্গ ইতিমধ্যেই বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য খড়্গ উদ্ধার নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য এখন এই গণ্ডার হত্যার ঘটনায় বাকি যুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা। এবিষয়ে আমাদের প্রতিবেশী দুই রাজ্য খুবই সহযোগিতা করছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের উত্তর জলদাপাড়া রেঞ্জের ৫০ ফুটের সংরক্ষিত জঙ্গলে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী গণ্ডারটিকে গুলি করে চোরাশিকারীরা গণ্ডারটির খড়্গ কেটে নিয়ে যায়। গুলিতে গণ্ডারটির মাথার খুলি চৌচির হয়ে যায়। মৃত গণ্ডারটির মাথার খুলি থেকে উদ্ধার হয় দু’টি বুলেট।
বন দপ্তর মনে করছে, কোনও শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গণ্ডারটিকে গুলি করে। গণ্ডারটিকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেটির খড়্গ কেটে নিয়ে যায়। তদন্তে বন দপ্তর এও জানতে পারে গণ্ডারটিকে হত্যা করে তার খড়্গটি নিয়ে চোরাশিকারীরা সড়ক পথেই পালিয়ে যায়। ওই গণ্ডার হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে বন দপ্তর শ্যামল সুবা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। এই গণ্ডার হত্যার ঘটনায় পুলিসকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সিআইডিও।