মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
মালতীদেবী বলেন, সোমবার রাতে দেওয়ানহাটে আমাদের যুব মোর্চার জেলা সহ সভাপতি ও এক কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তারা দু’টি বাড়িতেই ভাঙচুর চালায়। যুব মোর্চার সহ সভাপতির মাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। বাড়ি থেকে ওরা সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে। তারা যাওয়ার সময়ে হুমকি দিয়ে যায় পুলিসে অভিযোগ করলে ফল খারাপ হবে। জেলাজুড়েই তৃণমূল অশান্তি পাকাচ্ছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, সাধারণ মানুষ বিজেপিকে লোকসভায় ভোট দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির আসল চরিত্র বুঝতে পেরে এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এখন ওরা বোমা, বন্দুকের রাজনীতি করছে। এসবেরও ওরা জবাব পাবে। দেওয়ানহাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়ে থাকলে পুলিস তদন্ত করে দেখবে। প্রকৃত অপরাধী গ্রেপ্তার হোক আমরাও চাই।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, এদিন আমরা কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছি। সন্ধ্যায় ডাকঘরা বাজারে মিছিল ঘিরে অশান্তির খবর পৌঁছতেই আমরা গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি।
সোমবার রাতে দেওয়ানহাটে যুব মোর্চার জেলা সহ সভাপতি শুভঙ্কর সাহার বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে বলে বিজেপির দাবি। দুষ্কৃতীরা বাড়ির টিনের বেড়া, খাট, আলমারি, চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। পরিবারের সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা কিছুটা দূরে বিজেপির আরেক কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে ভাঙচুর না করলেও ওই বাড়ি থেকে সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে বিজেপির দাবি। এদিকে মাথাভাঙার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাড়ি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি কলাবাগানে এদিন একব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস বোমা উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয়দের দাবি, ব্যাগে পাঁচটি বোমা ছিল। যদিও পুলিস জানিয়েছে, এদিন যে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়েছে তাতে তিনটি বোমা ছিল। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেও ফুলবাড়ি বাজার থেকে দু’টি বোমা পুলিস উদ্ধার করেছিল।
২৮ নভেম্বর ফুলবাড়ি পঞ্চায়েত পুনর্দখল করে তৃণমূল। তারপর থেকে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। পরপর বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সেখানে পুলিস পিকেটও আছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ফুলবাড়িতে এখন তৃণমূলের কোনও অস্ত্বিত্ব নেই। পঞ্চায়েত সদস্যদের তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের অভিনয় করেছিল ওরা। এলাকাকে উত্তপ্ত করতে এখন বোমা রেখে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। মানুষ তৃণমূলের এসব কাজের জবাব দেবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শীতলকুচির ডাকঘরা বাজারে তৃণমূল ও বিজেপির মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সাপ্তাহিক হাটবার ছিল। সন্ধ্যায় যখন বাজার জমজমাট ছিল সেই সময়ে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই বাজারে মিছিল করে। দু’টি মিছিল মুখোমুখি হলে আচমকাই বোমাবাজি শুরু হয়। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিস এসে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের মিছিলে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে।