কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ঘোষ বলেন, ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মাঝেরডাবরি চা বাগানের গির্জা লাইনের বাসিন্দা তেরেসা বাকলা তার স্বামী এমিল বাকলাকে একলা ঘরে রেখে স্থানীয় গির্জায় প্রার্থনায় যান। সেই সময় প্রতিবেশী ব্যক্তি প্রকাশ কুজুর এমিলের ঘরে আসে। তাদের দু’জনের মধ্যে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে তর্কাতর্কি ও মারপিট হয়।
মারপিটে জখম হয়ে সেদিন প্রকাশ এমিলের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ৩১ মার্চ প্রকাশ সাত জনকে নিয়ে এমিলের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রকাশ জখম হওয়ার জন্য চিকিৎসার সমস্ত খরচ দাবি করলে এমিল তা দিতে অস্বীকার করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এরপরেই প্রকাশ ও তার সাত সঙ্গী এমিলকে ইট, পাথর ও কাঠের পিঁড়ি দিয়ে মারধর করে। গুরুতর জখম এমিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমিলের পরিবার স্থানীয় শামুকতলা থানায় আটজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস আটজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষ্য দেয়। দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট) রীণা সাউ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আটজন অপরাধীর নাম প্রকাশ কুজুর, শান্তিউস কুজুর, ক্রিস্টফার কুজুর, নিকোলাস কুজুর, আনন্দ কুজুর, কিশোর কুজুর, নীলমণি কুজুর ও বিশমণি কুজুর।