মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শীতের আমেজ চলে এলেও এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে শীতের আমেজে খাদ্যরসিক বাঙালির নানা খাবারদাবারের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ মিষ্টান্নর প্রতি। বিভিন্ন নামী দামি মিষ্টির দোকান ঘুরে নলেন গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ সহ একাধিক মিষ্টি খুঁজে বাসিন্দারা রসনাতৃপ্তিতে মেতে ওঠেন। তবে নলেন গুড়ের মিষ্টির নামে বর্তমানে বাজারে যা মানুষ পাচ্ছে তাতে মানুষ তৃপ্ত হচ্ছে না। তাদের মতে, উৎকৃষ্টমানের গুড়ের অভাবেই এখনও পর্যন্ত ভালো মিষ্টির চাহিদা মিটছে না। একইভাবে মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও দাবি করছেন, এখনই যে গুড় পাওয়া যাচ্ছে তা গুণগত মানের দিক একটু পিছনের সারিতে। তবে তাই দিয়ে তাঁরা যতটা সম্ভব ভালো মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তবে খুব শীঘ্রই ঠান্ডা একটু জাঁকিয়ে বসতেই আরও উৎকৃষ্টমানের মিষ্টি বাজারে পাওয়া যাবে। তখন স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টির মান অনেক উন্নত হবে।
রায়গঞ্জের এক মিষ্টি বিক্রেতা অভিজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের দোকানে বর্তমানে যে ধরনের গুড়ের মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে তা যথেষ্টই ভালো মানের। তবে বর্তমানে যে গুড় পাওয়া যাচ্ছে তার মান ততটা ভালো নয়। শীঘ্রই বাজারে আরও ভালো পরিমাণে গুড় মিললেই মিষ্টির মান আরও উন্নত হবে। ইসলামপুরের আরও এক মিষ্টি বিক্রেতা উৎপল হালদার বলেন,আমাদের কাছে যে কাঁচামাল আছে তাই দিয়েই আমরা সাধ্যমতো ভালো মিষ্টি তৈরি করি। এখনও পর্যন্ত যা গুড় পাওয়া গিয়েছে তা দিয়েই আমরা উৎকৃষ্ট মিষ্টি তৈরি করছি। ভালো গুড় বাজারে মিললে আরও ভালো মানের মিষ্টান্ন তৈরি করব।
রায়গঞ্জের মিষ্টিপ্রেমী এক বাসিন্দা নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, শীতের সময় নলেন গুড়ের তৈরি মিষ্টি খুঁজে খাওয়াটা আমাদের একটা ট্রেন্ড। তবে ডিসেম্বর পড়ে গেলেও আমরা এখনও শীত ও শীতের মিষ্টির স্বাদ থেকে দূরেই আছি। ভালো মিষ্টির সন্ধানে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে নলেন গুড়ের রসগোল্লা সন্দেশ খেয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত যে স্বাদের মিষ্টি খেয়ে আমরা অভ্যস্ত তেমনটা পাইনি। আশা করছি শীত জাঁকিয়ে পড়তেই ভালো গুড় বাজারে মিলবে তখন মিষ্টির গুণগত মান অনেক উন্নত হবে।