গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালদহের সুপারিনটেনডেন্ট অব পোস্টস অমলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ডাক বিভাগ নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। তাই নাগরিক স্বার্থেই একাধিক ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চলছে। গ্রামীণ এলাকাগুলির বাসিন্দারা যেন নিজেদের অঞ্চলে বসেই ডাক বিভাগের বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। গ্রামীণ ডাকঘরগুলিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মাধ্যমে সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ডিশ বা অ্যান্টেনা বসানোর কাজও চলছে।
মালদহের একটি সাব পোস্ট অফিসের কর্মী বলেন, এখন মালদহে একটি হেড পোস্ট অফিস রয়েছে। এরই সঙ্গে ৩৭টি সাব পোস্ট অফিস এবং ২৯৬টি ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস সহ মোট ৩৩৪টি পোস্ট অফিস রয়েছে।
গ্রামীণ ডাকঘরগুলিতে সব ধরনের পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে আরআইসিটি (রিমোট ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি) ব্যবহার শুরু হয়েছে। এই প্রযুক্তি অনুসারে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রিত একটি মাধ্যমে মানি অর্ডার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, স্পিড ও রেজিস্ট্রি ডাকে চিঠি পাঠানো সহ সব সুবিধাই পাওয়া সম্ভব।
তবে গ্রামীণ ডাকঘরগুলির কর্মীদের বক্তব্য, মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এই যন্ত্রগুলির মাধ্যমে পরিষেবা দিতে বেশ কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এমনও হয়েছে নেটওয়ার্ক পেতে কখনও বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে যেতে হচ্ছে গ্রামীণ ডাকঘরের কর্মীদের। আবার কখনও ডাকঘর সংলগ্ন খানিকটা খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে নেটওয়ার্ক পাওয়ার চেষ্টা করতে হচ্ছে।
এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেই ডিশ বা অ্যান্টেনা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা ডাক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৯৬টি ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের মধ্যে ১৬৮টিতেই এই টাওয়ার বা ডিশ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ডাক বিভাগের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, এই যন্ত্রগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থ্রি জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত। তবে অতি দ্রুত সব যন্ত্রগুলিকেই ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে। একদিকে অ্যান্টেনা বা ডিশ বসানো অন্যদিকে অত্যাধুনিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার এই পরিষেবা প্রদানের কাজকে এখনকার চেয়ে অনেকটা বেশি দ্রুত করতে পারবে বলেই মনে করছেন ডাক বিভাগের পদস্থ কর্তারা। সব মিলিয়ে জেলার ডাকঘরগুলিতে অত্যাধুনিক পরিষেবা দেওয়ার কারণে ডাক বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ ও আস্থাও যথেষ্ট বাড়বে বলেও তারা আশাবাদী।