কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন কাকভোরে এক বছর বয়সি হস্তিশাবকটির চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু ভোরের আলো ফোঁটার পরেও বাসিন্দাদের জলাধারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ দূর থেকে বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন ততক্ষণে জলাধারটির চারপাশে জটলা শুরু হয়েছে কয়েকটি বুনো হাতির। বাসিন্দারা দূর থেকে লক্ষ্য করেন হস্তিশাবকটি জলাধারে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। এরপরেই খবর পেয়ে বনদপ্তরের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের কর্মীরা দু’টি পেল্লায় বুলডোজার নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় উদ্ধার কার্য। এদিকে জলাধারের চারপাশে জটলা করা বুনো হাতির দল তখন জলাধার থেকে সরে গিয়েছে জঙ্গলে। জলাধারের পাশে শুধু দাঁড়িয়েছিল মা হাতিটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুলডোজার দেখেই মা হাতিটি তেড়ে আসে। আকাশের দিকে শুঁড় তুলে ক্ষেপে উঠতে দেখা যায় মা হাতিটিকে। বেশ কয়েকবার বুলডোজারে মাথাও ঠুকে দেয় মা হাতিটি। মা হাতিটির এই ক্ষিপ্ত আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বুলডোজারের দুই চালক। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে মা হাতিটিকে তাড়াতে বন কর্মীরা শূন্যে গুলি ছোঁড়েন। গুলির শব্দে মা হাতিটি আচমকা হকচকিয়ে গেলেও ফের বুলডোজারের দিকে তেড়ে যায়। বন কর্মীরা ফের গুলি ছুঁড়লে শেষ পর্যন্ত মা হাতিটি জলাধার থেকে ৫০ মিটার দূরে সরে যায়।
সেই সুযোগে অন্য একটি বুলডোজার দিয়ে পাকা জলাধারের পাড় ভেঙে বন কর্মীরা হস্তি শাবকটিকে জলাধার থেকে টেনে তোলেন। জলাধার থেকে ডাঙায় উঠেই হস্তি শাবকটি ৫০ মিটার দূরে থাকা মা হাতিটির কাছে ছুটে যায়। পরে বাগানের রাস্তা ধরে মা হাতিটি শাবকটিকে নিয়ে বক্সার জঙ্গলে ঢুকে যায়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে বন কর্মীদের এই গোটা অপারেশনটি শেষ হয়। ভার্নাবাড়ি চা বাগানের ম্যানেজার আর কে শর্মা বলেন, আমাদের কিছু ক্ষতি হলেও শেষপর্যন্ত হস্তি শাবকটিকে জলাধার থেকে বন কর্মীরা তুলে ফেলতে সক্ষম হওয়ায় ভালো লাগছে। জলাধারটির চারপাশে আমরা ফেন্সিং দেব। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর সেনগুপ্ত বলেন, পরিস্থিতি বিচার করে কুনকি হাতি ও ঐরাবত গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দপ্তরের কর্মীরা শাবকটিকে মা হাতির কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।