বিএনএ, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, মালবাজার: বালি খাদানের রয়্যালটি নিয়ে বিতর্কের জেরে চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন মালবাজার থানার ওসি অসীম মজুমদার। তিনি শনিবার রাতেই অতিরিক্ত পুলিস সুপারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওসি’র আচমকা এমন সিদ্ধান্তে জেলার পুলিস মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওসি অসীমবাবু নিজে পদত্যাগের কথা স্বীকার করে নিলেও জেলা পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের কেউই ওই অফিসারের পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। ওসি’র পদত্যাগ ঘিরে পুলিস মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অসীমবাবুর পরিবর্তে মালবাজার থানার ওসি’র দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি কেশাং লামাকে। উচ্চ পদস্থ কর্তাদের রোষানলে পড়ে যাওয়া ওই অফিসারকে পুলিস লাইনে ক্লোজ করার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি পাল্টা পদত্যাপ পত্র পাঠিয়ে দেন। অসীম মজুমদার বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে মালবাজার থানা থেকে অন্যত্র বদলি করা হচ্ছিল। বিষয়টি আমি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারিনি। তাই অতিরিক্ত পুলিস সুপারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
মাল থানার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ওসি কেশাং লামা বলেন, রবিবার থেকে মালবাজার থানার ওসি’র দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। জেলা পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর বালি, পাথর তোলার রয়্যালটির দর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। শীর্ষ কর্তাদের কানেও এই খবর যায়। শনিবার আচমকাই জেলা পুলিসের একাধিক পদস্থ কর্তা ওই থানা পরিদর্শনে যান। তখনই তাঁকে পুলিস লাইনে ক্লোজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন।