রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের হরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এদিন আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সভা হয়। পঞ্চায়েতের ২০২০-২১ বছরের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পরিকল্পনা আমরা একসঙ্গে বসে গ্রহণ করি। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়। চাষিদের কৃষক বন্ধু ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এদিন গ্রামসভার স্থলে রাজ্য সরকারের কৃষিজ বিপণন বিভাগ নায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য স্টল দিয়েছিল। ওই পেঁয়াজ কিনতে লম্বা লাইন পড়ে। আগামী দিনেও আমরা এই ভাবেই মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াব।
এদিন গ্রামসভায় এসে কমদামে পেঁয়াজ পেয়ে খুশি কেয়া বর্মন বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ১২০-১৩০ টাকা লাগছে। আমাদের মতো গরিব পরিবার পেঁয়াজ কিনতে পারছে না। কারণ পেঁয়াজের জন্য এতটাকা দিলে অন্য সব্জি কেনাই দায় হয়ে পড়বে। সেখানে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পেয়ে ভালোই হল। কিন্তু একই দামে পেঁয়াজ যদি খোলা বাজারেও পাওয়া যেত তবে সকলেই উপকৃত হতেন।
এদিনের গ্রামসভায় উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, মাটিগাড়ার বিডিও রুনু রায়, মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গৌরী দে প্রমুখ। সভাধিপতি সহ উপস্থিত অতিথিরা নায্যমূল্যের পেঁয়াজের পাশাপাশি চাষিদের কৃষক বন্ধু ক্রেডিট কার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠান স্থলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের স্টল দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তর, কৃষিদপ্তর সহ সামাজিক সুরক্ষা বিভাগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গ্রামবাসীরা ওসব স্টলে গিয়ে সরকারি বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ে ধারণা নেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর পতঙ্গবাহিত বিভিন্ন রোগের ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সচেতন করে। বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধও তারা এদিন গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করে। সেখানে সুফল বাংলার স্টল থেকে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ দেওয়া হয়। পরিবার পিছু এক কেজি করেই পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। কার্যত এদিন সরকারি অনুষ্ঠান পেঁয়াজের হাটে পরিণত হয়েছিল।