রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মালদহের ইংলিশবাজার ব্লকের ধানতলা আমবাগানে যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই এলাকার পড়ুয়া ও অভিভাবকরা উদ্বেগে রয়েছেন। সেই আতঙ্কে স্থানীয় ওই গার্লস হাই স্কুলে বেলা তিনটা থেকেই ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সূর্য ডোবার আগেই পড়ুয়াদের ছেড়ে দিচ্ছে যাতে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। সবার আগে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে। পরে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারাও জলদি ছুটি পাচ্ছে। মালদহ-কোতোয়ালির রাজ্য সড়কের উপরে রয়েছে টিপাজানির এই স্কুলটি। ঠিক তার পিছনেই রয়েছে সেই আম বাগান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই আম বাগানে নানা রকম দুষ্কৃর্ম চলে। বাইরে থেকে এসে কোনও দুষ্কৃতী স্কুলের আশেপাশে দুষ্কর্ম করলে বোঝার জো নেই। তাই ছাত্রীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে রয়েছে। সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বেলা গড়ানোর আগেই পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। যদিও স্থানীয় পুলিস-প্রশাসন পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
অভিভাবকরা বলেন, যেভাবে আম বাগান থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হল, তাতে আমরা আতঙ্কিত। বাড়ির মেয়েরা আম বাগানের মধ্যে দিয়ে স্কুলে যায়। আমরা তাদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। ওইসব এলাকায় পুলিস প্রশাসন নজরদারির বাড়ালে মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।
এবিষয়ে ওই হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানসী দত্ত বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা উদ্বেগে রয়েছি। আমার স্কুলের প্রচুর মেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে পড়তে আসে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই বাগানের আছে পাশ দিয়ে আসতে হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা তিনটার পর থেকে ছুটি দেওয়া শুরু করে দিচ্ছি। প্রথমে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদেরও আমরা সূর্য ডোবার আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমরা প্রশাসনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য চিঠি দেব। স্কুলে কিছু সিসিটিভি রয়েছে। যাতে পরিকাঠামো আরও বাড়ানো যায়, সেটি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব ।
এবিষয়ে ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। তবে এলাকায় আমাদের নজরদারি রয়েছে।
আড়াপুর জোত টিপাজানি আহ্লাদমণি ঘোষ গার্লস হাই স্কুলে বর্তমানে সাড়ে ১১০০ ছাত্রী পড়াশোনা করে। শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ৩২ জন ওই স্কুলের কর্মরত। কেবল পড়ুয়ারা নয়, শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ছাত্রীরা কোতোয়ালি, টিপাজানি, আড়াপুর, ধানতলা প্রভৃতি এলাকা থেকে ক্লাস করতে আসে। অনেককেই এলাকার আম বাগান দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্কুলের পিছনে বিশাল আম বাগান রয়েছে। সেখানে নানা রকম দুষ্কর্ম চলে বলে অভিযোগ। তাই বেলা তিনটা বাজলেই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাড়ে তিনটা নাগাদ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরে সূর্যের আলো থাকতে থাকতেই উঁচু ক্লাসে ছাত্রীদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।