বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ওই শিক্ষক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই সুইসাইড নোটটি পোস্ট করে নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন। এদিন ভোর রাতে হবিবপুর থানার পুলিস ওই স্কুল শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের ওই মেসেজে তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্যালককে দায়ী করেছেন ওই শিক্ষক। এদিন দেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। তখনই ওই সুইসাইড নোট উদ্ধার করে তারা। এদিন সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় শিক্ষক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এবিষয়ে হবিবপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, দক্ষিণ পূর্বপাড়া গ্রামে এক শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা তদন্তে নেমে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছি। সেটির সত্যতা যাচাই করে সুইসাইড নোটে উল্লেখিত এক ব্যক্তিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। ধৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মৃতের স্ত্রীর ভাই হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মালদহ জেলা সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। গভীর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে একটি মেসেজ পাই। সেখানে ওই শিক্ষকের সুইসাইড নোট লেখা ছিল। শান্ত স্বভাবের ওই শিক্ষকের এমন মেসেজ দেখে তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পুরো বিষয়টি পুলিসকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আমরা এনিয়ে সংগঠনগতভাবে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলব ।
মৃতের কাকা যোগেন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, শান্ত স্বভাবের ভাইপোকে প্ররোচনা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছি। দেবাশিসের বড় শ্যালক ও স্ত্রী সহ মোট চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে । স্ত্রী তাঁর সঙ্গেই থাকতন। নিয়মিত স্কুলেও যেতেন দেবাশিসবাবু। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে দোষারোপ করা হতো। সুইসাইড নোটে এমনটাই জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তি। এজন্য তাঁর বড় শালা নরোত্তম সরকার তাঁকে হুমকি দিত বলে ওই মেসেজে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু। শুক্রবার রাত একটা নাগাদ শিক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই মেসেজটি পাঠান তিনি। এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।