বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিজেপির নতুন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, আমি শিক্ষকতা চালু রেখে সভাপতিত্ব করতে চাইছি। অনেক ছুটি রয়েছে। সেগুলিতো পাব। নেতৃত্ব দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। আর দুই বছর চাকরি আছে। তাই চাকরি আর ছাড়ব না। জেলায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করাই এখন মূল লক্ষ্য। দ্রুত সংগঠনের কাজ শুরু করে দেব। বিজেপির বিদায়ী জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া হলেও রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে বিনয়বাবুকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সাংগঠনিক ব্যক্তি। আমরা অবশ্যই তাঁকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। তাঁর যাতে নেতৃত্ব দিতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য সব সময় পাশে থাকব।
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। ওই পদ থেকে শুভেন্দুবাবুকে সরিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অনুগামী বলে পরিচিত বিনয় বর্মনকে বসানো হয়। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট শহরের খাদিমপুরে এবং শহরেরই কবিতীর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্য। ২০০৯ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে তিনি দলের কর্মী-সমর্থক এবং এমনকী বিরোধীদের কাছেও পরিচিত মুখ নন। শিক্ষকতার কারণে দলে সেভাবে সময় দিতে না পারায় তিনি পরিচিত হয়ে উঠতে পারেননি।
এই অবস্থায় সভাপতির পদ পাওয়ার পরেও তিনি শিক্ষকতা চালু রাখতে চাইছেন। বিজেপির জেলা সভাপতির মতো গুরত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি শিক্ষকতা চালু রাখার কারণে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। আদতে তিনি সংগঠনের হাল ধরতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এমনিতেই তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে অপরিচিত। তাই নিজেকে পরিচিত করতে বেশ সময় লাগবে। সামনে জেলায় পরপর তিনটি নির্বাচন রয়েছে। চাকরি করে দলের সংগঠন কীভাবে পরিচলনা করবেন তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে তেমনি সারাদিন স্কুলে থাকার কারণে বিনয়বাবুকে দলে কর্মীরা সেভাবে কাছে না পাবার সম্ভাবনা থাকছে। স্বাভাবিকভাবে বিনয়বাবুকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। একাংশের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভও ছড়িয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও মণ্ডল সভাপতিদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সূত্রের খবর, সাংসদের অনুগামী হওয়ার কারণে বিনয়বাবু দায়িত্ব পেয়েছেন।