গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইন্দিরাদেবী বলেন, চলতি বছর জুন মাসে আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক বিবাদ হয়। সেটা মেটাতে বাড়িতে বহু লোক সেসময়ে এসেছিল। ওই দিনই আমাকে জোর করে কিছু লোক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠি। সেই সময় আমার ছেলে অসুস্থ হয়। ওকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। পরে শহরে ফিরে নিজের বাড়িতে এসে দেখি সদর দরজায় তালা দেওয়া। আমার স্বামী প্রদীপ প্রধান সেনা জওয়ান। তিনি রাজস্থানে পোস্টিং রয়েছেন। ছুটি না পাওয়ায় আসতে পারছেন না। আমি নিজের বাড়িতে ঢোকার জন্য প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। কিন্তু আমাকে কেউ সহযোগিতা করছে না। চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও উনি দেখা করেননি। পুলিসের কাছেও বাড়ির তালা খুলে দেওয়া জন্য আবেদন করেছি। ছ’মাস ধরে অন্যের বাড়িতে আছি। আমি চাই আমার বাড়ি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
চেয়ারম্যান স্বপনবাবু বলেন, ওই বাড়িতে ওই মহিলার সমাজের লোকেরা তালা মেরে দিয়েছে। তাই আমরা সেখানে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করিনি। নেপালি সমাজের নেতা গোপাল সোনার বলেন, আমরা ওই বাড়িতে তালা মারিনি। আমরা সেদিন সমস্যা মেটাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন জেনেছি ওটা ওঁদের পারিবারিক ঝামেলা আমরা আর এগয়নি। ওদের লোকজনই হয়তো তালা মেরে দিয়েছে। এরবেশি কিছু জানি না।
তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সিরাজুল সাহেব বলেন, মহিলার সমস্যার কথা জানি। আমরা এরমধ্যেই একদিন বসে সমস্যা মেটনোর চেষ্টা করব। মালের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার টেলিফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ ভুটিয়া বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। আমরা দ্রুত সবটা খতিয়ে দেখব।