রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, আপাতত মৃতের পরিচয় পেতে বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রাজ্যের থানাগুলি তো বটেই সেইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানা এবং পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যুবতীর পরিচয় না মেলায় দুষ্কৃতীরা এখনও পুলিসের নাগালের বাইরে রয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিস মৃতের দেহে যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে কোনও তথ্য হাতে পায়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে অন্য কোথাও ওই মহিলাকে খুন করে ঘটনাস্থলে এনে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনটা ধরে নিয়েই পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিসের বক্তব্য, মৃতের পরিচয় পেতে বিভিন্ন মাধ্যমে ছবি সহ প্রচার করা হচ্ছে।
জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মৃত যুবতীর পরিচয় আমরা এখনও পাইনি। তাঁর ব্যবহৃত কিছু অলঙ্কার, তাঁর শরীরের কাট মার্কের উপর ভর করে পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। সেসবের ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছি। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিগুলো দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব দেখে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য যাতে তাঁকে শনাক্ত করতে পারেন সেজন্য এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আমরা কোনও যৌন নির্যাতনের বিষয় পাইনি। ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে আরও বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
এবিষয়ে ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, যুবতীর পরিচয় পেতে আমরা বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিভিন্ন জায়গায় এসএমএস অ্যালার্ট পাঠানো হয়েছে। ওই তরুণী পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বাসিন্দাও হতে পারেন। সেই সম্ভাবনা ধরে নিয়ে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থানার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ইংলিশবাজারের কোতোয়ালির ধানতলা আমবাগানে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। সেই ঘটনার পর প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর পরিচয় মেলেনি। তাই পুলিস তদন্ত প্রক্রিয়া চালালেও দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি। আপাতত প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই মহিলাকে বাইরে থেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে এনে আমবাগানে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা মহিলার বুকের উপর থেকে মুখমণ্ডলের অংশ বীভৎসভাবে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই দগ্ধাবশেষ থেকে যুবতীর আসল চেহারা বোঝা মুশকিল। পোড়া মৃতদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিস খুনের ঘটনা ধরেই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মৃতদেহের শরীরে থাকা অলঙ্কার ও পোশাকের কিছু নমুনা থেকে পুলিস কিছু সূত্র পেয়েছে। তা দিয়েই মৃতার পরিচয় জানা যেতে পারে বলে ধারণা পুলিসকর্তাদের। এজন্য যুবতীর পুড়ে যাওয়া মুখমণ্ডলের অংশ সহ দুই হাতে ব্যবহৃত দুটি বালা, তিনটি পাথর যুক্ত আংটি, একজোড়া চটির ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে পুলিস । যুবতীর ডান হাতে ট্যাটু করা রয়েছে। সেখানে ‘জে প্লাস এম’ লেখা রয়েছে। এথেকে মনে হচ্ছে ওই যুবতীর নামের প্রথম অক্ষর জে কিংবা এম।