শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
এদিন জেলা শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দু’দিনের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পর্ষদ সভাপতি মানিকবাবু। আজ, রবিবার এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা, পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি, সংসদের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অতিথিদের সামনেই পর্ষদ সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পর্ষদ সভাপতির এই বক্তব্যে দৃশ্যতই তখন মঞ্চে থাকা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি, জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক ও অন্যান্য অতিথিরা অস্বস্তিতে পড়েন। পর্ষদ সভাপতির এই বক্তব্যে জেলার শিক্ষা মহলে শোরগোল পড়েছে।
এদিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মার্চপাস্টে অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন সার্কেলের প্রাথমিক পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে অনেকের পায়েই জুতো ছিল না। ছিল না নির্দিষ্ট পোশাকও। এই দৃশ্য দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন পর্ষদ সভাপতি মানিকবাবু।
পরে মানিকবাবু তাঁর ভাষণে বলেন, রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের জুতো দিচ্ছে। পোশাক দিচ্ছে। পোশাকের সঙ্গে মনের সম্পর্ক থাকে। লুঙ্গি পড়ে চণ্ডিপাঠ হয় না। এই ধরনের অনুষ্ঠান সুসজ্জিত হয়ে করতে হয়। আগামী বছরে আমি আবার আলিপুরদুয়ারে আসব। তখন যদি একটি পড়ুয়ার পায়েও জুতো না দেখি, একটি শিশুর গায়েও যদি ইউনিফর্ম না দেখি তাহলে পর্ষদের সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে আমিও খালি পায়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেব।
তাঁর দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বার্ষিক ক্রীড়ার জন্য জেলাগুলিকে পাঁচলক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সার্কেলগুলিকে একলক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সার্কেলগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে ‘চলো পঞ্চায়েত’ নীতির জন্য। কিন্তু এই টাকা ১০০ শতাংশ ইউটিলাইজ হচ্ছে না। তাই এই অবহেলা যদি চলতেই থাকে তাহলে এই অর্থ এবার সরাসরি জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে।
যদিও অস্বস্তি ঢাকতে পরে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি অনুপবাবু বলেন, মার্চপাস্টে আমাদের সব পড়ুয়ার পায়েই জুতো ছিল। অনেক সময় গ্রামগঞ্জের পড়ুয়ারা খালি পায়ে খেলাধুলো করতে আরামদায়ক মনে করে। হয়তো সেই জন্যই মার্চপাস্টের সময় কয়েকজনের পায়ে জুতো ছিল না।
অনুপবাবু আরও বলেন, এবার থেকে সার্কেলগুলিকে নির্দেশ দেব বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য পোশাক ও জুতো কিনে দিতে। কারণ সার্কেলগুলিকে তো সেই জন্যই টাকা দেওয়া হয়।