মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
পুরাতন মালদহের বাচামারী জি কে হাইস্কুলের শিক্ষক শুভ্রাঙ্ক সান্যাল বলেন, সরকার অনেক দিন আগেই গুটকা জাত দ্রব্যের বিক্রি বন্ধের কথা বলেছে। কিন্ত এখন পর্যন্ত কোথাও এর বিক্রি বন্ধ হয়নি। যুব সমাজের কথা ভেবে গুটকা সত্যিই বন্ধ করা উচিত। এজন্য আরও জোরাল প্রচার করতে হবে। এর দায়িত্ব সমাজের সবাইকে নিতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা স্কুলে পড়ানোর ফাঁকে বলি এই গুটকা খুব ক্ষতিকর। পড়ুয়াদের এগুলি বোঝাই। যার কারণ একটাই তারা যেন সমাজে এর প্রচার করতে পারে।
মালদহ জেলা বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, সরকার গুটকা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে অবশ্য সেভাবে কিছু প্রচার করা হচ্ছে না। আমরা যদি নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে প্রচার করি তাহলে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবে না। ব্যবসায়ীদের কাছে যেটুকু জিনিসপত্র ছিল তা সবাই পরিষ্কার করছে। তা শেষ হলে আগামী দিনে তারা গুটকা বিক্রি করবে না। কিন্তু সরকারি প্রচার সবসময় চালু রাখতে হবে। তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যবসায়ীদের বোঝাতে সুবিধা হয়। প্রসাশন থেকে কাউকে কোনও কিছুই বলা হচ্ছে না। এটাই হচ্ছে সমস্যা। আমাদের পক্ষ থেকে সমস্ত মার্কেটকে জানিয়ে দিয়েছি গুটকা বিক্রি করা চলবে না। গুটকা যদি কেউ নিজ দায়িত্বে বিক্রি করে আমাদের কোনও দায় থাকবে না। যাদের পুরনো স্টক রয়েছে, তারা হয়ত বিক্রি করছে। নতুন করে কেউ কিনে নিয়ে বিক্রি করছে না। মালদহ সদর মহকুমা শাসক সুরেশ চন্দ্র রানো বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুটকা বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে সরকার রাজ্যে গুটকা নিষিদ্ধ করেছে। প্রথমের দিকে গুটকা বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্বস্থি থাকলেও প্রশাসনের তরফে কোনও নজরদারি না থাকায় বর্তমানে দেদার বিক্রি হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে সবাই গুটকা নিষিদ্ধের বিষয়টি ভুলতে বসেছে। তাই এনিয়ে শীঘ্রই প্রশাসনিক অভিযানের দাবি উঠেছে।