পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, পর্যটন নিয়ে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় ফরেস্টের এক জায়গা আমরা পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তুলব। সেখানে বানানো হবে কটেজ।
এদিনের বৈঠকে ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা রাস্তাঘাট ,পানীয় জল ,ভাঙা সেতু নির্মাণ সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। সমস্যার কথা শুনে জেলাশাসক সেই মতো জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন। মিটিং শেষ করে জেলাশাসক ব্লকের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শন করেন। ব্লকের পর্যটন কেন্দ্র মহিপাল দিঘি ও কিষাণমাণ্ডি পরিদর্শন করেন। জেলাশাসক ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজের বিষয় সেভাবে কিছু না বললেও, সরকারি কাজে আরও গতি আনতে জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করেন।
কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাজল সরকার বলেন, কুশমণ্ডি সদরে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। দ্রুত নর্দমা তৈরী করার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছি। ব্লকের বহু রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে রয়েছে। সেবিষয়েও জানিয়েছি। সুদুকুড়া থেকে সাহাপুর অবধি পাঁচ কিমি রাস্তা এখনও কাঁচা। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছেন। সে বিষয়েও বলা হয়েছে। মালিগাঁও এলাকায় জলের সমস্যা রয়েছে। ওই এলাকার জলে আর্সেনিক রয়েছে। মালিগাঁও এলাকায় গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে বলেছি। এছাড়া খাদ্যদপ্তর পঞ্চায়েত সমিতিকে অন্ধকারে রেখে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন, প্রকৃত কৃষকরা যাতে ধান বিক্রি করতে পারেন, সেবিষয়েও জেলাশাসককে বলেছি। কুশমণ্ডি ব্লকে খাস জমির পাট্টা প্রদান বন্ধ হয়ে রয়েছে। তা চালু করার কথা বলা হয়েছে। জেলাশাসক আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। শৌচালয় নিয়ে দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেবিষয় তিনি আমাদের দেখতে বলেছেন। এছাড়াও বাংলা আবাস যোজনায় ঘরগুলি ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কি না, তা গ্রামে গিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিমাসে স্থায়ী সমিতির মিটিং করে উন্নয়ন মূলক কাজ কি হয়েছে সেবিষয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন করা সাধারণ মানুষকে।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, কুশমণ্ডি ব্লক পরিদর্শনে এসে আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে কথা বলেছি। একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তা আমি বিডিওর মাধ্যমে সমাধান করার কথা জানিয়েছি। সরকারি প্রকল্প, রাস্তাঘাট, পানীয় জল নিয়ে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখা হবে। ব্লকের কিষাণমাণ্ডি, মহিপাল পর্যটন কেন্দ্র, কর্মতীর্থও কয়েকটি রাস্তা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের বিষয় কথা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমরা কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন, সেবিষয়টি দেখার কথা বলেছি। কুশমণ্ডি ব্লকে কিভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সেজন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসককে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেই জেলাশাসক গত সপ্তাহে হরিরামপুর ব্লক পরিদর্শন করেন। এদিন কুশমণ্ডি ব্লক পরিদর্শন করেন তিনি।