মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
মামলা মোকদ্দমার জেরে দু’মাস ধরে ভোরে আলো প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ স্থগিত ছিল। কয়েকদিন আগে ওই মামলা খারিজ হয়ে যায়। তারপর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রশাসন। এদিন ওই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি সহ পর্যটন, সেচ, পূর্ত, পিএইচই, বনদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজকর্ম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে ভোরের আলো অন্যতম। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য ইতিমধ্যে এখানে পিলখানা তৈরি করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর ওই পিলখানার উদ্বোধন করা হবে। এজন্য জলদাপাড়া থেকে চারটি হাতি এখানে আনা হবে। এখানে এসে পর্যটকরা হাতি সাফারির মজা নিতে পারবেন। পাশেই দেড় কিমি লম্বা জলাশয়ে থাকবে নৌকাবিহার বা বোটিংয়ের ব্যবস্থা। পর্যটকদের থাকার জন্য সংস্কার করা হচ্ছে কটেজ। আগামী ১ বৈশাখ ২০টি কটেজ চালু করা হবে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে এখানে পাম্প হাউস তৈরির কাজ চলছে। আগামী তিনমাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে বলে সেচদপ্তর জানিয়েছে। এখানে ১১ একর জমির উপর ইকোপার্ক গড়া হচ্ছে। সেই পার্কে ফুল, ফল প্রভৃতি গাছ থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো তিস্তা নদীর পাশে গজলডোবায় অবস্থিত। এই পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে লাটাগুড়ির দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গজলডোবা থেকে লাটাগুড়ির দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। তা কমাতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করে একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই কাজ করছে পূর্তদপ্তর। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর গজলডোবা-লাটাগুড়ির মধ্যে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৫৩ কিমি। এছাড়া ভ্রামরীদেবী মন্দির থেকে গজলডোবা পর্যন্ত আরওএকটি রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে সেভকের করোনেশন সেতুর মতো একটি ব্রিজ তৈরি করা হবে। সেটির উচ্চতা হবে প্রায় ২৫ মিটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা খরচ হবে। এজন্য পূর্তদপ্তরকে জমি হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে অনুমোদিত প্রকল্পের জায়গা থেকে ১৪টি পরিবারকে সরিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এরজন্য জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে রেল লাইনের উপর উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সরস্বতীপুর থেকে সালুগাড়া পর্যন্ত রাস্তার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। জেলাশাসকের নেতৃত্বে গজলডোবা ডেভলপমেন্ট অথরিটিও কাজ করছে। এছাড়া এদিন বৈঠকে টাইগারহিল, সান্দাকফু, জলদাপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার কিছু বড় সমস্যা নিয়ে বনদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।