বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার অশ্বিনী কুমার বলেন, গঙ্গারামপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা এদিন ২৬ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছেন। আমরা তাঁদের আবেদন শুনেছি। আমরা রেল উন্নয়ন সমিতিকে আশ্বাস দিয়েছি। দ্রুত আমরা কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনের কাজ খতিয়ে দেখেন রেলের একাধিক আধিকারিক। গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে এদিন গঙ্গারামপুর স্টেশনে চলতে থাকা কাজ নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কাজ দ্রুত শেষ করে নতুন বছরের গোড়াতেই গঙ্গারামপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়ে রেল আধিকারিকদের কাছে আবেদন করে রেল উন্নয়ন সমিতি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেল আধিকারিকরা গঙ্গারামপুর স্টেশনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে পরিষেবা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক অজয় দাস বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু শুরু হয়ে গিয়েছে। এবছরের মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের আধিকারিক গঙ্গারামপুর স্টেশনের কাজ দেখতে এসে দুর্গা পুজোর মধ্যে গঙ্গারামপুর স্টেশনের প্রথম দফার কাজ শেষ করার কথা বলেছিলেন। তারপর কয়েকমাস কেটে গেলেও খুব ধীরগতিতে কাজ চলছে। ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা রেল আধিকারিকদের কাছে দাবি রেখেছি, যাত্রী সাধারণের কথা ভেবে ২৬ জানুয়ারি একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করে দেওয়া হোক। আধিকারিকরা এব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমানে গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উন্নয়ন, আয়রন মুক্ত পানীয় জল, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ভিআইপি গেস্ট হাউস, ইলেকট্রিক সিগন্যাল রুম ইত্যাদি তৈরির কাজ চলছে। গঙ্গারামপুর স্টেশনকে বি গ্রেড রেল স্টেশনে উন্নীত করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৯ কোটি ৩ লক্ষ টাকায় জোরকদমে চলছে কাজ।