বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আন্দোলনরত এক ছাত্রী বলে, অন্যান্য স্কুলগুলিতে টেস্টে ফেল করার পরেও পরীক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকে বসতে দেওয়া হচ্ছে। শুধু আমাদের স্কুলে তা করা হচ্ছে না। টেস্টে অ্যালাউ না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আজাদ হুসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, শুধু ইসলামপুর গার্লস স্কুল ছাত্রীদের কেন আটকাচ্ছে? ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করলে সেটা পড়ুয়াদের সমস্যা। এটা এখন স্কুল কর্তৃপক্ষের ইগোর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রীরা হাত-পা ধরে অনুরোধ করার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কথা শুনলো না। আরও এক অভিভাবিকা সীমা গুপ্ত বলেন, মেয়েকে পাশ করানোর অনুরোধ জানাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম। পরিবারের সমস্যার কথাও জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ছাত্রীদের আন্দোলনের প্রতি আমার সমর্থন আছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার বলেন, টেস্টে মোট ৪২ জন ফেল করেছিল। পরে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে চার জনের নাম তোলা হয়েছে। বর্তমানে ফেল করা ছাত্রীর সংখ্যা ৩৮ জন। খাতা দেখতে চাইলে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমরা শত্রুতা করে তো কাউকে কম নম্বর দিইনি। পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে এই ৩৮ জন চার-পাঁচটি বিষয়ে ফেল করেছে। ৮০ নম্বরের মধ্যে ২৪ নম্বর পেলেই পাশ। কিন্তু সেই নম্বরটাও তারা তুলতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, টেষ্টে পাশ করানোর দাবিতে এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামপুরের পিডব্লুডি মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এই স্কুলেরই ছাত্রীদের একাংশ। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে অবশ্য অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে দিতে রাজি হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। জাতীয় সড়কে আন্দোলনের পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় এবার পরীক্ষায় বসতে চেয়ে চার জন ছাত্রী স্কুলগেটে অনশনে বসেছে। তবেও এতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের সুর নরম হওয়ার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। এদিকে আন্দোলনরত ছাত্রীরা হুমকি দিয়েছে যে তাদের পাশ না করানো পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।