পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে বেঙ্গল সাফারিতে ২০ জন পর্যটকের দল ভর্তি একটি বাস টাইগার এনক্লোজারে বিকল হয়ে যায়। ওই বাস দীর্ঘক্ষণ সেখানে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ও মহিলাও ছিল। তাঁদের অধিকাংশই কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। এরজেরে সাফারি ট্রিপ ব্যাহত হয়। এই ঘটনার পর পর্যটকদের একাংশ পার্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন। এই খবর চাউর হতেই বনদপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে আলোড়ন পড়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই দিন সংবাদ মাধ্যমে ওই খবর ফাঁস হতেই কলকাতা থেকে বনদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা খোঁজ খবর নেন। খোদ বনমন্ত্রী নিজেও আধিকারিকদের ফোন করে পর্যটকদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন। পাশাপাশি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছেন বনমন্ত্রী।
পার্কের ডিরেক্টার ধরমদেও রাই বলেন, বুধবার টাইগার এনক্লোজারে বিকল হওয়া বাস নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খাঁচার বাইরে আনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সার্ভিস সেন্টারে পাঠিয়ে ওই বাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইঞ্জিনে সামান্য সমস্যা হওয়ায় সেটি থমকে গিয়েছিল বলে সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এক্ষেত্রে কারও কোনও গাফিলতি নেই। তবে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ সাফারি বাসের উপর বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সাফারি পার্কে বাসের সংখ্যা ১০টি। কয়েকদিন আগে একটি বাসের যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে। সেটি সার্ভিস সেন্টারে দেওয়া হয়েছে। এখন ন’টি বাস দিয়ে সাফারি চালানো হচ্ছে। প্রতিটি বাসই ব্যাটারি চালিত। পরিবেশ বান্ধব বাসগুলি ২০ আসন বিশিষ্ট। বৃহস্পতিবার সকালে চালুর আগে প্রতিটি সাফারি বাসের পরীক্ষা করা হয়। বিশেষ করে টাইগার এনক্লোজারে প্রবেশের আগে বাসগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে।