অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গোটা দেশ এখন উত্তাল। তার মধ্যেই মালদহে দগ্ধ যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। রাজনৈতিক দলগুলি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছে। এলাকাবাসীদের অনুমান, ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ওই যুবতীর পরিচয় না মেলায় পুলিস তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিশেষ এগোতে পারেনি।
মালদহের পুলিস সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, কোতোয়ালি এলাকার এক আমবাগান থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যুবতীর পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন থানায় রিপোর্ট করেছি। এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিচয় আমরা পাইনি। তবে ঘটনাটি কী ঘটেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর পরিষ্কার হবে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
ইংলিশবাজার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই যুবতীকে বাইরে থেকে এনে ওখানে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে পুড়িয়ে মারার বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রের সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, কোতোয়ালির ধানতলায় এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কিভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমি এবিষয়ে পুলিস সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে ঘটনার ভালো করে তদন্ত হয়, তা বলা হয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার ঘটনার পেছনে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তার যেন কঠোর শাস্তি হয়।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, হায়দরাবাদের ঘটনার এক সপ্তাহও পার হয়নি, তার মধ্যেই মালদহে এধরনের সামনে উঠে আসছে। মনে হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি আবার কলঙ্কিত হল। ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করছি। পাশাপাশি এঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত যাতে হয় সেজন্য আমরা দলীয়ভাবে প্রশাসনকে জানাব।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, এধরনের ঘটনা সামাজিক ব্যাধি। দুষ্কৃতীরা কুকর্ম করে বহাল তবিয়তে থেকে যাচ্ছে। তাদের জন্য কোনও কঠোর আইন বা শাস্তিপ্রদান হচ্ছে না। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। আমরা চাই দোষীদের পুলিস খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিক।
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, এধরনের ঘটনা নৃশংস ও নির্মম। এজন্য দায়ী পুলিস ও প্রশাসন। তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ঘটনার পর মালদহেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি না, এসব কি চলছে। আমরা ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছি।