অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মালদহ টাউন স্টেশনের ম্যানেজার দিলীপ চৌহান বলেন, সম্প্রতি এই বাতানুকূল বিশ্রামাগার চালু হয়েছে। পর্যাপ্ত অত্যাধুনিক এলইডি আলো দিয়ে কক্ষটি সাজানো হয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল সোফা সেট। এলইডি টেলিভিশনেরও বন্দোবস্ত রয়েছে। এখানে বসে বিশ্রাম নেওয়ার খরচ ঘণ্টায় মাথাপিছু ৩০ টাকা। তবে কেউ যদি খানিকটা ঘুমিয়ে নিতে চান তাহলে রয়েছে বিশেষ ধরনের আরামদায়ক সোফার বন্দোবস্তও। তবে তার খরচ কিছুটা বেশি, ঘণ্টা প্রতি ৫০ টাকা।
মালদহ টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই বিশেষ কক্ষটি সাজানো হয়েছে রুচিশীল ভাবে। দামী টাইলস, প্রায় জীবন্ত মনে হওয়া চড়াই পাখির ছবির দিকে তাকালেই চোখের স্বস্তি মিলবে অনেক যাত্রীরই। এরই সঙ্গে রয়েছে আরেকটি ছোট কক্ষ। তাতে রয়েছে অত্যাধুনিক দু’টি পৃথক সোফা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ ধরণের উন্নতমানের বিশ্রাম কক্ষে থাকতে পারেন সব শ্রেণীর যাত্রীরাই। তাঁদের কাছে শুধু ট্রেনের বৈধ টিকিট থাকতে হবে। অবশ্য এই কক্ষে বিশ্রাম নিলে কোনও খাবার সরবরাহ করবে না রেল। তবে কোনও যাত্রী চাইলে নিজেদের সঙ্গে আনা খাবার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে এই মনোরম পরিবেশে বসে খেতে চাইলে আপত্তিও করবে না রেল কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে মালদহ টাউন স্টেশনে উচ্চ শ্রেণীর যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিকেও বাতানুকূল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার। তবে এই কক্ষে বিভিন্ন ট্রেনের বাতানুকূল শ্রেণীতে যাত্রার টিকিট থাকা ব্যক্তিরাই শুধু থাকতে পারবেন। সংরক্ষিত স্লিপার ক্লাস বা অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধারণ প্রতীক্ষালয় রয়েছে। তবে তাঁরাও চাইলে ঘণ্টা প্রতি ৩০ টাকা বা ৫০ টাকা খরচ করে প্রথম শ্রেণীর যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সমতুল এই নতুন বিশ্রামকক্ষে সময় কাটাতে পারেন বলে মালদহ টাউন স্টেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জ থেকে মালদহে এসে গৌড় এক্সপ্রেসে কলকাতা যাওয়ার পথে নতুন বিশ্রামকক্ষ থেকে খুশি কলকাতার এক কলেজ শিক্ষিকাও। তিনি বলেন, কম খরচে এই ধরনের আধুনিক ব্যবস্থা থাকতে আমার আর রিটায়ারিং রুম ভাড়া করার দরকার পড়বে না। নিরাপত্তার দিক দিয়েও এই নতুন বন্দোবস্ত স্বস্তিদায়ক।