অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, শুধু নিকাশি নালা নয়, ভোরের আলোয় থমকে থাকা সমস্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে ভোরের আলো উল্লেখযোগ্য। উত্তরবঙ্গ তো বটেই গোটা রজ্যের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে এটা অন্যতম। শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে গজলডোবায় ওই প্রকল্প গড়ে উঠেছে। তিস্তা নদীর কাছে অবস্থিত ওই এলাকা অত্যন্ত নীচু। পর্যটকদের স্বার্থেই সেখানে আন্ডার গ্রাউন্ড নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গজলডোবা এলাকাটি অনেকটা ‘কড়াইয়ের’ মতো। প্রতি বর্ষাতেই সেখানে জল দাঁড়িয়ে যায়। তাই কলকাতার বিভিন্ন এলাকার মতো সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রে আন্ডার গ্রাউন্ড নিকাশি নালা তৈরির প্রকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য সেখানে একটি পাম্প হাউজ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে বসবে চারটি পাম্প। সেই পাম্পগুলি চালিয়ে পর্যটন কেন্দ্রে জমা জল পাইপের মাধ্যমে তিস্তা নদীতে ফেলা হবে। এরজন্য পর্যটন কেন্দ্রের চারপাশে মাটির তলায় পাইপ পাতা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজে প্রায় ৫১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। মামলার জেরে এই কাজ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। মামলা নিষ্পত্তি হতেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্প রূপায়ণের কাজ জোর কদমে শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে সেচদপ্তর। বুধবার দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং সেচদপ্তরের তিস্তা ব্যারেজ প্রজেক্টের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে নিকাশি প্রকল্প তৈরির কাজ তদারকি করেন। পরে সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, মাঝখানে দু’মাস প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। আবার পাম্প স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করা হবে। আগামী বর্ষার মরশুমের আগেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হবে।