অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যদি দলবিরোধী কার্যকলাপ কোনও নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয় তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু মন্তব্য করে দলের এমপি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিকে তির ছুঁড়েছেন প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ফেসবুকে শঙ্কর চক্রবর্তীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর সঙ্গে আমি কথা বলব। যদি দলের কোনও নেতা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেন তবে তিনি যে স্তরেরই হোন না কেন, দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
উত্তর দিনাজপুরের দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা মালদহের পর্যবেক্ষক শঙ্কর চক্রবর্তী ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেনের ফেসবুকে পোস্টকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। ফেসবুক পোস্ট ছাড়াও দলের জেলা কার্যালয়ে সম্ভাব্য জেলা সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতিদের নাম নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ হয়। দলের ওই ক্ষোভ বিক্ষোভ রাস্তায় আছড়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কি সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হল? গত বুধবার দলের জেলা কার্যালয়ে অনেক নেতাকে দেখা যায়নি। রাজ্য নেতা তথা উত্তরবঙ্গের দলের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জেলায় আসতেই জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে তিনি টানা বৈঠক করেন। নির্বাচনের হার নিয়ে সব নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেছেন। শুক্রবার তিনি কালিয়াগঞ্জে যাবেন। সেখানে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবেন। উপনির্বাচনে হারের পর কালিয়াগঞ্জে গেরুয়া শিবির মুষড়ে পড়েছে। নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে রাজুবাবু সেখানে অনেকটা সময় দেবেন। তবে নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে টাকার বিনিময়ে কেউ অর্ন্তঘাত চালিয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজুবাবু বলেন, পুরসভা নির্বাচনগুলিতেও আমাদের ফলাফল ভালো হবে। তিনটি উপনির্বাচনে হার নিয়ে এমন ভাবার কারণ নেই। লোকসভা ভোট ও উপনির্বাচনকে এক করে ভাবার কোনও কারণ নেই।
লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী ৫৭ হাজার ভোট লিড পেয়েছিলেন। এলাকার ভূমিপুত্র কমল চন্দ্র সরকারকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি জয়ের মার্জিন বাড়ানোর টার্গেট নিয়েছিল। কিন্তু সেই মার্জিন ধরে রাখা তো দূরের কথা, একজন অখ্যাত কম পরিচিত মুখ তপন দেব সিংহকে প্রার্থী করে শাসক দল বাজিমাত করেছে। তৃণমূল প্রার্থীর ওই জয়ের জন্য দলের জেলা নেতারাই কেউ সমালোচনা করে বলছেন, এনআরসি নিয়ে এতটা বাড়াবাড়িই উপনির্বাচনে হারের কারণ। এলাকার সংসদ সদস্যের কাজ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।