অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মাথাভাঙার মহকুমা কৃষি আধিকারিক অশোককুমার দে বলেন, আমরা মহকুমায় এখনও পর্যন্ত ৫৯টি কৃষক পরিবারকে মৃত্যুকালীন সহায়তা প্রদান করেছি। আমাদের কাছে ১১টি পরিবারের আবেদন জমা রয়েছে। তাদের জন্য বরাদ্দ অর্থ এসে গিয়েছে। শীঘ্রই তাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।
কোচবিহার জেলায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অরুণকুমার বসু বলেন, জেলায় ১৯৮টি পরিবারকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মৃত্যুকালীন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলায় এখনও আরো ১৫টি পরিবারের আবেদন জমা রয়েছে। সেই পরিবারগুলিকেও দ্রুত এই সহায়তা প্রদান করা হবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কোনও কৃষকের ৬০ বছরের আগে মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার এককালীন দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা পায়।
কয়েকমাস আগে রাজ্য সরকার কৃষকদের সহায়তা করার জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনা করে। এতে এক একরের বেশি জমির মালিক বছরে দু’বার ২৫০০ করে মোট ৫০০০ টাকা পাবে। ইতিমধ্যে কৃষকদের প্রথম পর্যায়ের ২৫০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের আওতাতেই কৃষকরা মৃত্যুকালীন সহায়তা পেয়ে থাকেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সুবিধা পেতে গেলে মৃতের পরিবারকে সরাসরি ব্লক অথবা মহকুমা কৃষি অফিসে এসে আবেদন করতে হবে। তবে এনিয়ে কৃষকরা এখনও পুরোপুরি ওয়াকিবহাল হয়নি বলেই কৃষিদপ্তর জানিয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা জানান, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকলেও প্রান্তিক এলাকার অনেক কৃষক এখনও এই সহায়তার জন্য আবেদন করেনি। এনিয়ে গ্রামেগঞ্জে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে। তারই ফলস্বরূপ অনেকেই এই আবেদন করছেন। যার সুবিধা ইতিমধ্যেই অনেকে পেয়ে গিয়েছে।