পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে আনাজ ব্যবসায়ীদের অবশ্য দাবি, ‘মোকাম’ বা বৃহৎ আড়তগুলিতে পাইকারি দাম বেশি হওয়াতেই তারা বাধ্য হয়ে খুচরো বাজারে এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আলিপুরদুয়ারে টাস্কফোর্স ময়দানে নামলেও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি কিংবা শিলিগুড়ির বাজারগুলিতে টাস্কফোর্স দেখা যায়নি। আলিপুরদুয়ারের ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে কৃষি বিপণন দপ্তর সুফল বাংলা স্টলে ভর্তুকিতে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের সব্জি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কাঁচামাল হওয়ায় পেঁয়াজেও ঘাটতি আছে। পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই পেঁয়াজ আনতে ভয় পাচ্ছেন। বাইরের মোকামে বা আড়তে পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই ১২০-১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণ আনতে কোচবিহারে প্রশাসনিক স্তরে কোন টাস্কফোর্স গঠন হয়নি। এরফলে সাধারণ ক্রেতারা আরও বেশি ক্ষুব্ধ। একেই অবস্থা শিলিগুড়িতেও। শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ির মুখ্য নিয়ন্ত্রিত বাজারে পেঁয়াজ ৭০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই পেঁয়াজ শহরের বিভিন্ন বাজারে ১০০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে আনার জন্য পরিবহণ খরচের পাশাপাশি পেয়াজ পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, স্থানীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবিবাবু বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজের দামের জন্য সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়। সেইজন্য কৃষকদের বহুমুখী চাষ হিসেবে আরও বেশি করে পেঁয়াজ চাষ করতে হবে। তাহলেই পেঁয়াজের ঘাটতি কমবে।
জলপাইগুড়িতেও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি পর্যায়ে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শহরের খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। জলপাইগুড়ির দিনবাজারের সব্জি ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত বলেন, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় ও পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা দাম হওয়াতেই তারা বাধ্য হয়ে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
কোচবিহারের মতো আলিপুরদুয়ারেও খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আলিপুরদুয়ারে টাস্কফোর্স গঠিত হলেও দাম নিয়ন্ত্রণের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। জেলা কৃষি বিপণন দপ্তর থেকে পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা হলে ব্যবসায়ীদের ১১৫-১১৬ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দাম মানছে না ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পেঁয়াজের দাম থেকে মধ্যবিত্তকে সাময়িক স্বস্তি দিতে আলিপুরদুয়ারে কৃষি বিপণন দপ্তর তাদের সুফল বাংলা স্টলে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। দাম কম হওয়ায় সুফল বাংলা স্টলে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে দপ্তর মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা কৃষি বিপণন দপ্তরের সহ অধিকর্তা দীপঙ্কর পণ্ডিত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা হলে ব্যবসায়ীরা যেন খুচরো বাজারে ১১৫-১১৬ টাকায় বিক্রি করে। দাম নিয়ন্ত্রণে জেলার বাজারগুলিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।