অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের মোহন বসু বলেন, যতদিন যাচ্ছে শহর নেশাগ্রস্তদের আঁতুরঘরে পরিণত হচ্ছে। উঠতি বয়সিরা নানাভাবে মাদকজাতীয় নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। আমি পুলিসকে বলেছি কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি, পুলিস নেশাগ্রস্তদের পাশাপাশি নেশা করার সামগ্রী বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করবে।
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, আমরা জেলাজুড়ে নেশার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। নেশার সামগ্রী বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাংশ পড়ুয়া নেশায় আসক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি শহরে নেশাগ্রস্তদের হাতে খুন হন এক ব্যক্তি। অত্যধিক মদ্যপান করে এক যুবক নদীতে তলিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে নেশার সামগ্রী প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড চত্বরের একাংশ দোকানে ওসব বিক্রি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে গুমটি দোকানে সহজেই গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, মদ সহ বিভিন্ন নেশার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। হাতের কাছেই ওসব মেলায় উঠতি প্রজন্ম আসক্ত হচ্ছে। শহরবাসীর দাবি, রাত ১০টার পর শহরের কিছু কিছু এলাকা নেশাগ্রস্তদের দখলে চলে যায়। ওসব এলাকা দিয়ে চলাফেরা করাই তখন কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। সম্প্রতি রাতে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক সরকারি কর্মচারী নেশাগ্রস্তদের হাতে খুন হন। তিন মদ্যপ তাঁর রাস্তা আটকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিস ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছিল। গত সপ্তাহেই করলা নদীতে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিসের দাবি, ওই যুবক অত্যধিক মদ্যপান করায় নদীতে পড়ে গেলেও উঠতে পারেনি। শহরের ২ এবং ৩ নম্বর রেলগুমটি সুকান্তপল্লিতে নেশাগ্রস্তদের উৎপাত বেশি, দাবি স্থানীয়দের। মদকাসক্তদের পাশাপাশি ওসব যারা বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন পুর চেয়ারম্যান। যদিও পুলিস জানিয়েছে, শহরজুড়ে অভিযান চলছে। সম্প্রতি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু মদের ঠেক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে ধরাও হয়। নেশাগ্রস্ত পড়ুয়াদের আটক করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিস বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। শহর সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর গাঁজার প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পড়ুয়াদের সচেতন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবির করা হচ্ছে।