অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, এদিন আমাদের সংগঠনের প্রতিনিধিও ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক তাঁদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে টেলিফোনে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আশা করছি এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। আমরা যাই দ্রুত সমস্যার অবসান হোক। পুরো মাত্রায় রপ্তানি বাণিজ্য ফের চালু হবে বলে আশা রাখছি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের রপ্তানি বন্দরগুলির মধ্যে অন্যতম হল মালদহের মহদিপুর রপ্তানি বাণিজ্য কেন্দ্র। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন’শ থেকে চার’শ লরি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করতে বাংলাদেশে যায়। বিভিন্ন সব্জি, আনাজ, ফল ও পাথর রপ্তানি করা হয় এই রপ্তানি বন্দর দিয়ে। তবে রপ্তানিকৃত বস্তগুলির মধ্যে সিংহভাগই থাকে পাথরকুচি বা স্টোন চিপস। পাথরের এই জোগান আসে মালদহ লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পাকুড় থেকে। এই রপ্তানি বাণিজ্যের উপর রপ্তানিকারকরা যেমন নির্ভরশীল তেমনই এই বাণিজ্য থেকে দেশেরও যথেষ্ট উপার্জন হয় বলে দাবি রপ্তানিকারকদের। সম্প্রতি বাংলাদেশের পানামা পোর্ট লিংকে মাল আনলোডিংয়ের খরচ প্রায় সাড়ে ছয় গুণ বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছেন তাঁরা।
রপ্তানিকারকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আমদানিকারকরাও ভারত থেকে রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। তাই তাঁরাও চান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক। সেই লক্ষ্যেই তাঁরাও এদিনের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এদিনের আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বাণিজ্য সংগঠনের নজরেও বিষয়টি আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রপ্তানিকারকদের বক্তব্য, অনেক সময়ই রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। তাতে আমরা মার খাই। এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সংশ্লিষ্ট সব মহলই সক্রিয় হয়ে ওঠায় সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা।