অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলার পদ নিয়ে আইনি বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় পুর পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষত ওই ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি তাঁদের। ওই ওয়ার্ডে ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সমস্যা যে রয়েছে তা একাধিকবার স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যান দুলাল সরকারও। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নজরে আসতেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন মৌসম নুর। সম্প্রতি ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পরে জেলাশাসক ও পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, আমি এবং সংশ্লিষ্ট সবপক্ষই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছাব। রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনা করা হবে। সকলেই যখন সমাধান চান তখন সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাবে বলে আমি আশাবাদী।
এদিনের বৈঠকের পরে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, রেল কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। তাঁদের পক্ষ থেকে আউটলেট করার ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ওই এলাকার নিকাশি সমস্যার সমাধান কার্যত অসম্ভব। রেল কর্তৃপক্ষকে এক হাত নিয়ে নীহারবাবু বলেন, আর্সেনিক মুক্ত জলের পাইপ তাঁদের জায়গায় রাখার জন্য পুরসভাকে এক কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার বিল ধরাচ্ছে রেল। অথচ পুর পরিষেবা বাবদ প্রাপ্য ৯০ লক্ষ টাকা বকেয়া রাখা হচ্ছে। নিমাইসরাই ও রথবাড়ি এলাকায় রেললাইনকে ব্যাক পুশ করার জন্য চুক্তি অনুযায়ী আমরা রেলকে এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দু’বছর আগে দিয়েছি। কিন্তু তাঁরা এখনও আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না।
বুধবার বৈঠকের পরে মৌসম বলেন, ইংলিশবাজার পুরসভা সাধ্যমতো কাজ করছে। কোথাও কোথাও কিছু সমস্যা রয়েছে। সবাই মিলে নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে ওই সমস্যাগুলি তৎপরতার সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নাগরিক স্বার্থে কাজ করতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য করে আমরা কাজে নেমে পড়েছি। ২৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি পুরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডগুলিতেও আমি নিজেই যাব। স্থানীয় কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে উন্নত নাগরিক পরিষেবা যেন দেওয়া যায় তা দেখা হবে। দল ও পুরসভা একযোগে নাগরিক স্বার্থে কাজ করবে বলেও এদিন জানান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী।