অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পদত্যাগী ফিনান্স অফিসার ভাস্কর বাগচি বলেন, চেক বা কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বের করাটা আইনবিরুদ্ধ কাজ। আমি তা করতে পারব না। প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সমস্যা মেটান। উনি কলকাতায় বসে কেন অবাস্তব কথাবার্তা বলছেন তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা চলছে তা অনভিপ্রেত। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। রেজিস্ট্রারের চিঠি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও আমাদের থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পান। অথচ বিশ্ববিদ্যালয কর্তৃপক্ষ তা আমাদের দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। দাবি না মেটা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এদিন শিক্ষকদের একাংশ আমাদের কাছে ধর্না মঞ্চে এসে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। রেজিস্ট্রার কেন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না তা বুঝতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক দুই ভাগে বিভক্ত। বিশ্ববিদ্যালের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে বলে অভিযোগ। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো থেকে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল টাঙানো, সবেতেই দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ বারবার উঠেছে। ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক চুরির মতো ঘটনাও ঘটেছে। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মালদহের শিক্ষাবিদরা বিরক্ত হয়ে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, গৌড়বঙ্গে নিয়মিত উপাচার্য ও ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাস ছাড়েন। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌরসীপাট্টা জমিয়ে রাখেন। কর্তা ব্যক্তিদের তোষামোদ করে আখের গোছানোটা তাঁদের ধ্যানজ্ঞান। তাঁরা কাজের থেকে তৈলমর্দনকে বেশি প্রাধান্য দেন। ফলে দুর্নীতিবাজদের শিকড় কোনও আমলেই উপড়ে ফেলা সম্ভব হয় না। গত কয়েকবছরের হিসেবনিকেশ ও নিয়োগ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই সবকিছু প্রকাশ্যে আসবে।