অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
ফোসিনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমরা প্রত্যেকবারই কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব, দাবিদাওয়া পাঠাই। এবারও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে পাঠিয়েছি। বাজেটের আগে এনিয়ে আলোচনা হবে। আশা করছি অন্যান্য বারের মতো এবারও কিছু সুযোগ সুবিধা আমরা আদায় করতে পারব।
স্মারকলিপিতে ফোসিন মূল জোর দিয়েছে উত্তরবঙ্গকে সিকিম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির শিল্পবিকাশের জন্য চালু বিশেষ প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসা। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এনিয়ে আমরা বহু বছর ধরে লড়াই করছি। সিকিম, অসম থেকে আমাদের দূরত্ব কতটুকু? ওরা যদি এনইআইআইপিপিতে (নর্থ ইস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন পলিসি) যুক্ত থাকতে পারে আমরা পারব না কেন? এই বিশেষ প্যাকেজ আমরা যুক্ত হতে পারলে শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের হাত ধরে কর্মসংস্থান হবে। এলাকার ভোল পাল্টে যাবে।
উত্তরবঙ্গের উন্নতিতে চা ও পর্যটন শিল্পের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথাও তারা জানিয়েছে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, উত্তরবঙ্গের চা শিল্প এখন এমন এক সঙ্কটের মুখে পড়েছে যা গত ১০০ বছরে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার সঙ্কট থেকে চা শিল্পকে উদ্ধার করতে একাধিক প্রজেক্ট ঘোষণা করলেও তা কার্যকর করা হয়নি। সেগুলির বাস্তবায়ন প্রয়োজন। চা উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের জন্য শিলিগুড়িতে একটি টি ক্লাস্টার করা দরকার। আমরা এসব জানিয়েছি।
উত্তরবঙ্গের রেল প্রকল্পগুলির দ্রুত সম্পন্ন করা, এনজেপি থেকে আসানসোল সুপারফাস্ট ট্রেন চালু, নির্ধারিত সময় মেনে শতাব্দী চালানোর পাশাপাশি রেলের জমিতে ৪০-৫০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসা ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের আগে সঠিক পুনর্বাসনের দাবিও সংগঠন তুলেছে। জাতীয় সড়ক মেরামত, বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার দাবিও তারা জানিয়েছে।