অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুনীল আগরওয়াল বলেন, সুতির তৈরি অ্যাপ্রন সেট স্কুলগুলিতে দেওয়ার কথা। জেলায় ২২৬২টি স্কুলে অ্যাপ্রন সেট দেওয়া হবে। অনিয়ম হয়েছে শুনেছি। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, আপাতত স্কুলগুলিতে অ্যাপ্রন বিলি বন্ধ রাখা হয়েছে। টেন্ডারে দেওয়া অ্যাপ্রনের কাপড়ের মানের সঙ্গে স্কুলে সরবরাহ করা কাপড়ের মান যাচাই করা হবে। কোনওরকম অসঙ্গতি থাকলে ওসব বাতিল করা হবে।
জেলার স্কুলগুলিতে মিডডে মিল রান্না করে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ওই রাঁধুনিরা যাতে রান্নার সময় নিরাপদে থাকতে পারেন সেজন্য তাঁদের বিশেষ পোশাকের সেট সরবরাহের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। তাতে অ্যাপ্রন, মুখ ঢাকার কাপড়, মাথায় টুপি, রুমাল, গ্লাভস আছে। মিডডে মিল প্রকল্পের আওতায় ওসব বিনামূল্যে রাঁধুনিদের দেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যবহার করে রান্না করলে তাঁরা সুরক্ষিত থাকবেন। অ্যাপ্রন পরলে রাঁধুনিদের পোশাকও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। জেলা প্রশাসনের মিডডে মিল বিভাগ অ্যাপ্রন কেনার জন্য টেন্ডার করে। এরপর তা প্রশাসন হাতে পায়। সেসবই এবার বিলি শুরু হয়েছে।
জেলার সাতটি ব্লক অফিস, তিনটি পুরসভা সহ শিলিগুড়ি পুরসভার মাধ্যমে জেলার স্কুলগুলিতে তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলায় বেশকিছু স্কুলে ওই অ্যাপ্রন দেওয়া হয়েছে। এরপরেই কাপড়ের মান নিয়ে অভিযোগ সামনে আসে। অ্যাপ্রনগুলি সুতির কাপড়ের পরিবর্তে সিন্থেটিক কাপড়ের দেওয়া হয়েছে। এতে আগুন দ্রুত ছড়াতে পারে। মুখ ঢাকা কাপড়টিও সিন্থেটিক। অভিযোগ উঠেছে, রাঁধুনিদের সুরক্ষার কথা ভেবে ওসব দেওয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি অ্যাপ্রন সেটের দাম ৫৯৮ টাকা। স্কুল প্রতি গড়ে ১০টি করে অ্যাপ্রন সেট দেওয়া হচ্ছে। অ্যাপ্রন সুতির কাপড়ের করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু স্কুলে বিলির পরেই দেখা যাচ্ছে সিন্থেটিক কাপড়ের অ্যাপ্রন বিলি করা হচ্ছে। গ্লাভসগুলি হাত মোজার মতো দেওয়া হয়েছে। ওসব দিয়ে গরম কড়াই ধরা যাচ্ছে না। ফলে এই অ্যাপ্রন নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।