অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
হিলি শুল্ক দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট মহম্মদ শাহিদ বলেন, কোনওভাবে পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। কিছুদিন আগে পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়ার চক্র সক্রিয় হয়েছিল। তবে আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। মাঝেমধ্যে বৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে ওই দেশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে আমরা স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ উদ্ধার করছি। এবিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ মূলত ভারত থেকে আমদানি করা হতো। তবে এবছর বর্ষার কারণে একাধিক রাজ্যে পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানি বন্ধ হতেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। সেখানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে এদেশের পাচারকারীরা ইতিমধ্যে পেঁয়াজ হিলি সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে পাচার শুরু করেছে। বাংলাদেশে টাকা দিয়েও পেঁয়াজ পাচ্ছেন না ওদেশের বাসিন্দারা। স্বাভাবিকভাবে এদেশে এসে পেঁয়াজের দাম কম দেখে লোভ সামলাতে পারছেন না অনেকে। যেখানে বাংলাদেশে ২৫০-৩০০ টাকা পেঁয়াজের দাম সেখানে হিলিতে ৮০-১০০ টাকা দাম হওয়ার কারণে বাড়ির ফেরার পথে দুই থেকে চার কেজি পেঁয়াজ কিনে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এভাবে পেঁয়াজ নিয়ে যেতে সফল হচ্ছেন আবার কেউ কেউ শুল্ক দপ্তরেই তা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়া পুরো অবৈধ হলেও নানা কৌশল করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক সময় শুল্ক দপ্তর এবং বিএসএফ তল্লাশি করার সময় পেঁয়াজ হাতেনাতে পাচ্ছে। অনেকে অনুরোধ করে ছাড় পেয়ে নিজেদের দেশে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছেন। কারও পেঁয়াজ আটক করছে শুল্ক দপ্তর ও বিএসএফ। বিষয়টি বেশকিছু দিন আগে সামনে আসতেই শুল্ক দপ্তর কড়াকড়ি শুরু করেছে।