কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের বাসিন্দারা বলেন, বর্তমানে ভোরের দিকে অবশ্য কুয়াশা পড়ছে। তাতে খানিক শীত শীত আমেজ আসছে। তবে তার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ নয়। একটু পরে রোদ উঠতে না উঠতেই হারিয়ে যাচ্ছে সেই শীতের আমেজ। তারপর বেলা যত বাড়ছে, তত চড়া হচ্ছে রোদের তেজ। শীতের আমেজ উধাও হয়ে গিয়ে তখন অস্বস্তি বাড়ছে। শুধু তাই নয়, দুপুরের দিকে ভ্যাপসা গরমে এই ডিসেম্বর মাসেও ঘামতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতে শীত পড়ে যায় মালদহে। তবে এবার প্রত্যাশামতো শীত না পড়ায়, শীতনির্ভর ব্যবসাগুলি জমে ওঠেনি এখনও। সব্জি বাজারে শীতকালীন নানা শাকসব্জির দেখা তেমন মিলছে না। ফলের বাজারে এখনও ঢালাও কমলালেবু আসেনি। শীতবস্ত্রের দোকানে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের সোয়েটার, জ্যাকেট প্রভৃতির পশরা সাজিয়ে বসলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। একই অবস্থা উলের মোজা বা টুপি-মাফলার বিক্রোদেরও।
জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় মুখ ভার মিষ্টিপ্রেমীদেরও। কারণ শীত না পড়লে মিলবে না ভালো মানের গুড়। আবার ভালো মানের গুড় না পেলে পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজারের ব্যবসায়ীরা ভালো মানের গুড়ের মিষ্টিও বানাতে পারছেন না। অনেক মিষ্টি বিক্রেতা তো এখনও গুড়ের মিষ্টি তৈরি করাই শুরু করেননি। তাঁদেরও একটাই কথা, আরও শীত পড়লে তবেই এই কাজ শুরু করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে জেলার ব্যবসায়ীরা এখন হা পিত্যেশ করে অপেক্ষা করছেন শীতের। তাঁরা বলেন, এতদিনে শীত পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। আরও শীত পড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ব্যবসা আরও ভালো হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও শীত পড়ার তো কোনও লক্ষ্মণ তেমন দেখছি না।
পুরাতন মালদহের সব্জি ব্যবসায়ী নিতাই ঘোষ, মুস্তালিম শেখরা বলেন, এখন ডিসেম্বর মাস চলছে, তবুও সেইরকম শীত শীত ভাব পড়েনি। শীত যত পড়বে, তত সব্জির ব্যবসা আরও জমবে। বিশেষ করে সকালের দিকে আরও ভালো ভিড় হবে। ঠান্ডা পড়লে ক্রেতাদের মধ্যে নতুন আলু কেনার ধুম লেগে যায়। সেই ঝোঁক এখনও আসেনি। শীতকালে ধনে পাতা, শাকসব্জি বেশি বেশি করে কিনে নিয়ে যান অনেকে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে, শীতের এই সময়ে বেশ ভালো ব্যবসা হয়।
গাজোলের লেপ ব্যবসায়ী মহম্মদ তৈয়ব আলি বলেন, আমরা তো অনেক আগে থেকেই লেপ বানানো শুরু করে দিয়েছি, যাতে শীত এলে চাহিদা মতো জোগান দেওয়া যায়। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পড়ে গেলেও এখনও তো শীতের দেখা নেই। আমাদেরও অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দা নারায়ণ প্রামাণিক, ভূষণ চক্রবর্তীরা বলেন, এখন ভোরের দিকে একটু কুয়াশা পড়ে ও ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। তাও সেই অনুভূতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। দুপুরের দিকে তো মাঝে মাঝে এটা ডিসেম্বর মাস কি না, তা নিয়েই সন্দেহ জাগে। শীত এখনও আমাদের কাবু করতে পারেনি। তাই শীত বস্ত্র বা লেপ-কম্বল কেনার কথাও এখনও আমরা ভাবিনি।