দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, ডাকঘরা বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওখানে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। গণ্ডগোলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ডাকঘরা বাজার এলাকার দখল নেয় বিজেপি। তাদের ভয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে বাজারে আসতে পারছিলেন না তৃণমূল কর্মীরা। এর আগেও বাজার এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ডাকঘড়া। বিজেপি তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিয়েছিল। আতঙ্কে সেসময় বেশ কয়েকদিন বাজার বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেননি। এদিন ফের বাজার এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। মাথাভাঙা শীতলকুচি রাস্তার ধারে ডাকঘরা বাজারে বোমাবাজির ঘটনায় শীতলকুচিগামী যাত্রীবাহি গাড়িগুলি এদিন খলিসামারি হয়ে ঘুরে যাতায়াত করেছে। পরে এদিন দলীয় দপ্তরে দীর্ঘদিন পর বসেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, বাজার এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সাধারণ মানুষ সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও এতে অতিষ্ঠ। এদিন সাধারণ মানুষ স্বতঃফূর্তভাবে বিজেপির কবল থেকে বাজার এলাকা উদ্ধার করেছে।
এব্যাপারে তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, বড় কৈমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাকঘরা বাজার এলাকা সহ গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নকে স্তব্ধ করে রেখেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সাধারণ মানুষ বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা এদিন বাজারের পার্টি অফিস সংস্কার করার জন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে এসেছিলাম। বিজেপি নিজেরা দলীয় অফিস ভাঙচুর করে আমাদের নামে বদনাম করছে। বোমাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, ডাকঘরা বাজারে এদিন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করে তৃণমূলের লোকজন বোমাবাজি করতে করতে বাজারে ঢোকে। বাজারে থাকা আমাদের দলীয় অফিসটি তারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এদিন পুলিসের সামনে বোমাবাজি ও আমাদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করলেও তারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। পুলিস এখন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তৃণমূলের এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের জবাব মানুষই দেবে।