দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
ময়নাগুড়ি থানার ট্রাফিক ওসি মানিক দাস বলেন, দুর্ঘটনা কমতে আমরা ময়নাগুড়ি ব্লকের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার বিভিন্ন রাস্তা চিহ্নিত করে সেখানে সাইডে বোর্ড বসানোর কাজ শুরু করেছি। ময়নাগুড়ি এলাকায় মোট সাতটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জল্পেশ মোড়, ভোটপাট্টি, উল্লাডাবরি, ইন্দিরা মোড়, ঝাঁঝাঙ্গি, দোমোহনি মোড়, রানিহাট মোড় এলাকা। এইসব এলাকাতেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আমরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলাচলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পুলিস জানিয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে অক্টোবর মাসে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একমাসেই ফল পাওয়া যায়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমে। নভেম্বর মাসে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জন্য ধৃতের সংখ্যা নেমে আসে ২৩ জনে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িতে বাদুড় ঝোলা ঝুলে যাত্রী পরিবহণ হচ্ছে। সেই সব গাড়িগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান লাগাতার চলবে।
বেপোয়াভাবে টোটো, বাইক চলাচলের ব্যাপারে সোমবারও পুলিস অভিযানে নামে। এদিন প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে নো এন্ট্রি জোন দাঁড়িয়ে প্যাসেঞ্জার তোলার সময় বেশকিছু টোটোকে পুলিস আটক করে। পুলিসের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ময়নাগুড়ির বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানান, পুলিস এভাবে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক ব্যবস্থার দিকে নজর দিলে ময়নাগুড়িতে যানজট হবে না। দুর্ঘটনাও কমবে। প্রতিদিন সকাল ১০-১১টার দিকে অফিস টাইমে শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলিতে মাছি গলার যো থাকে না। পুলিসের অভিযানের ধারাবাহিকতা থাকলে এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি গাড়ি চালনোর ব্যাপারেও চালকরা সতর্ক হবে। দুর্ঘটনা কমবে। তবে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুলিসের এমন উদ্যোগ আগেও দেখা গিয়েছে। দু’-একদিন জোরদার ধরপাকড় চলে। তারপর আবার সব থিতিয়ে যায়। যানবাহনগুলি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এনিয়ে পুলিসের লাগাতার অভিযান চালানো দরকার। পুলিস অবশ্য জানিয়েছে, তাদের সীমিত পরিকাঠামো, লোকবল নিয়ে যতদূর করা সম্ভব তা করা হবে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে। না হলে দুর্ঘটনা, যানজট কমানো সম্ভব নয়।