দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
অভিযোগ শনিবার গোল্লাপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের জন্য খিচুড়ি ও সোয়াবিনের তরকারি রান্না করা হয়। শিশুরা সেই খাবার নিয়ে বাড়ি গেলে অভিভাবকদের নজরে আসে সোয়াবিনে ছোট ছোট সাদা পোকা রয়েছে। এনিয়ে তখনই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অনেকে পোকা না দেখে বাচ্চাদের খাবার খাইয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে এলাকার অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরো ঘটনা প্রশাসনকে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু রবিবারেও প্রশাসনের লোকজন ঘটনার তদন্তে গ্রামে না যাওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ জমেছে। যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার কথা জানা নেই। এনিয়ে খোঁজখবর করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে।
গোল্লাপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা দীপিকা বর্মন বলেন, এর আগে পোকা বেরিয়েছিল। আমি শনিবার রান্না করিনি। দিদিমনি রান্না করেছিল। পোকা সোয়াবিনের ভেতরে ছিল। আমরা বুঝতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে। ওই কেন্দ্রের কর্মী গীতা সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জেলা শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক দীপেন্দু দত্ত বলেন, ঘটনার বিষয় জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। দ্রুত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ির মালিক আজিজুর সরকার বলেন, আমার বাড়িতে সুরক্ষিত ভাবে খাবার রাখা হয়। কীভাবে সোয়াবিনে পোকা ধরল বুঝতে পারছি না। হয়ত আগে থেকে প্যাকেটে ভিতরে পোকা ছিল।
অভিভাবক চুমকি বর্মন, জনতা রায়রা বলেন, খাবার বাড়িতে নিয়ে এসে সোয়াবিন ভেঙে দেখতে পাই পোকা রয়েছে। তৎক্ষণাৎ কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি কর্মীদের জানালে তাঁরা আমাদের কাছে ক্ষমা চান। আমাদের বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে। কয়েকজন এখনও অসুস্থ রয়েছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও এখনও কেউ এলাকায় আসেনি। পোকাধরা খাবার আমরা ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। প্রশাসকের লোকেরা এলে দেখাব।
গোল্লাপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬৫ জন পড়ুয়া রয়েছে। কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর না থাকায় সেটি এখনও এলাকার বাসিন্দা আজিজুর সরকারের বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছে। শনিবার কেন্দ্রের সহয়িকারা দেরি করে আসায় কর্মী গীতা সরকার রান্না করেন। বাচ্চাদের জন্য খিচুড়ি আর সোয়াবিনের তরকারি রান্না করা হয়। রান্না শেষ হতেই পড়ুয়াদের খাবার বিলি করেন কর্মীরা। খাবার নিয়ে বাচ্চারা বাড়ি চলে যায়। অনেকে কেন্দ্রে বসেই খাবার খায়। বাড়িতে খাবার নিয়ে গেলে অভিভাবকরা সোয়াবিন ভেঙে বাচ্চাদের খাওয়াতে গিয়ে দেখতে পান সোয়াবিনের বেতরে ছোট ছোট সাদা পোকা। বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।