দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
মাদারিহাটে বিজেপির কৃষক সেলের দু’দিনের এই সভায় সংগঠনের ৩৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৩টি জেলা থেকে ১৩৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন্দ্র রঞ্জন, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অরুণ মণ্ডল, রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল ও জেলা সভাপতি সুজিত সাহা।
বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণবাবু বলেন, টি ট্যুরিজমের ছাড়পত্র দিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা বাগানে প্রোমোটিং ব্যবসা করার উৎসাহ জোগাচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তে চা শ্রমিকদের তো উপকার হবেই না, উপরন্তু চা বাগানের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এতে নষ্ট হবে। এর প্রতিবাদে আমরা রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেব। আমরা জানি, আমাদের এই প্রতিবাদ ডেপুটেশন রাজ্যের অঙ্গুলিহেলনে কোনও জেলাশাসকরা নেবেন না। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের মাধ্যমে আমরা এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের চাপ উপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছি।
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, চা শ্রমিকরা বিজেপির ধাপ্পাবাজি ধরে ফেলেছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্র বাগান খুলতে না পেরে এখন রাজ্যপালকে বাগানে আনার নাটক শুরু করেছে। কিন্তু এতে ওদের কোনও লাভ হবে না।
সংগঠনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ধান না কিনে তৃণমূলের সরকার ফড়ে ও মহাজনদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে। ধান কেনার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। এর প্রতিবাদে ১১ তারিখ সংগঠনের তরফ থেকে পুরুলিয়া বাদে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক কৃষি অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পুরুলিয়া জেলায় এই ডেপুটেশন দেওয়া হবে ৫ ডিসেম্বর। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কেন্দ্র রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাধ্যবাধকতায় রাজ্যের সম্মতি ছাড়া চা বাগান খোলা বা চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিজেপি এই ইস্যুতে দলের শাখা সংগঠনগুলিকে দিয়ে রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে।