দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সিতাইয়ের বাসিন্দা হিতেন রায় বলেন, দিনহাটায় কোনও কাজে গেলে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। সেতুটি চালু হলে আমাদের এখানকার মানুষের যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
সিতাইয়ের বাসিন্দা বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, দিনহাটা ও সিতাইয়ের মাঝে সিঙ্গিমারি নদীর উপর সেতু নির্মাণ নিয়ে আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা রাজনীতি করে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এলাকার মানুষের কথা ভেবে, ২০১২ সালে সেখানে সেতুর জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। খুব শীঘ্রই সেতুর উদ্বোধন হবে। এই সেতু দিনহাটা মহকুমা শহরের সঙ্গে সিতাই ব্লকের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
সিতাইয়ের বিডিও অমিতকুমার মণ্ডল বলেন, সেতুর কাজ হয়ে গিয়েছে। সিতাইয়ের দিকে সংযোগকারী রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। দিনহাটার দিকে সংযোগকারী রাস্তার কাজ সামান্য বাকি আছে। ওই কাজ জোরকদমে চলছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেতুর উদ্বোধন করব।
দিনহাটার মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহামেদ বলেন, সংযোগকারী রাস্তার জন্য জমি নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেটা মিটে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই আশা করি, কাজ শেষ হয়ে যাবে।
দিনহাটার ও সিতাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে মানসাই নদী। নৌকায় করে নদী পেরিয়ে সিতাইয়ের মানুষকে মহকুমা শহর দিনহাটা আসতে দীর্ঘসময় লাগে। বর্ষার সময় এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সিতায়ের বাসিন্দাদের সেসময়ে প্রাণ হাতে নিয়ে নৌকায় করে পারাপার হতে হয়। নদী পারাপারের সময় একাধিকবার নৌকাডুবি ঘটনা অতীতে হয়েছে। তাতে কয়েকজনের মৃত্যু পর্যন্তও হয়েছে। নৌকা চেপে নদী পেরিয়ে দিনহাটায় কলেজ, আদালত, হাসপাতাল, মহকুমা শাসকের অফিস সহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন সিতাইয়ের মানুষকে আসতে হয়। শুখা মরশুমে প্রায় দু’কিমি নদীর চর হেঁটে আসতে হয়। তাই বহুদিন থেকেই মানসাই নদীতে সেতু তৈরির দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের লাগাতার আন্দোলনের ফলে বাম আমলে একাধিকবার সেতুর শিলান্যাস হলেও কাজ এগয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সাগরদিঘি ঘাটে ২০১২ সালে ১২৫ কোটি টাকা খরচ করে সেতুর কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে কাজ শেষ হয়নি। সেতুর সংযোগকারী কাজ কিছুটা হওয়ার পর জমি সমস্যার জন্য তা আটকে যায়। জমিজট কাটিয়ে চলতি বছরের প্রথমে দিকে সেতুর কাজ শেষ হয়। এবার রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারি মাসেই সাগরদিঘি ঘাটে মানসাই নদীর সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এই সেতুটি খুলে দেওয়া হলে সিতাই ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবেন। দিনহাটা থেকে সিতায়ের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।