দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এদিন বামনহাট স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চালু উপলক্ষে এলাকায় ছিল খুশির মেজাজ। বামনহাট রেল উন্নয়ন দাবি সমিতির পক্ষ থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনকে সাজানো হয়। স্টেশন এলাকায় প্যান্ডেল বেঁধে সেখানে রেলের আধিকারিক, চালকদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এদিন বামনহাট থেকে রওনা দেওয়া যাত্রীদেরও পেন উপহার দেওয়া হয়। বামনহাট থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ।
সংসদ সদস্য বলেন, নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে এদিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস বামনহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হল। সেই সঙ্গে নিউ কোচবিহার স্টেশনে ক্লক রুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে এই ট্রেনটি স্থায়ীভাবে বামনহাট থেকে চলবে।
উদয়নবাবু বলেন, বামনহাট প্রান্তিক স্টেশন। এটা ভারত-বাংলাদেশের প্রায় সীমান্তে রয়েছে। দিনহাটা-২ ব্লকেরও একেবারে প্রান্তে। ট্রেন বামনহাট পর্যন্ত চালু হওয়ায় এখানকার মানুষ উপকৃত হবেন। কলকাতা যাওয়ার জন্য নিউ কোচবিহার ছোটাছুটি বন্ধ হবে। মানুষের অনেক দিনের চাহিদা পূরণ হল। আমরা এই আন্দোলনের পাশে ছিলাম।
বামনহাট রেল উন্নয়ন দাবি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রাজশেখর ঘোষ বলেন, আমার দীর্ঘদিন ধরেই বামনহাট থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চালানোর দাবি বিভিন্ন মহলে জানিয়ে আসছিলাম। এনিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। দেরিতে হলেও ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা খুশি।
বামনহাট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার ইনচার্জ ভাস্কর দত্ত বলেন, এদিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস বামনহাট স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্নে রওনা দিয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে সমিতির পক্ষ থেকে ওই ট্রেনটিকে বামনহাট স্টেশন থেকে চালানোর দাবি জানানো হচ্ছিল। এর মাঝে একবার এই ট্রেনটিকে দিনহাটা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা রিলে অনশন শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সেই সময়ে রেলের আধিকারিকেরা এসে ট্রেনটিকে বামনহাট থেকে চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস বামনহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই কলকাতা থেকে আসা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সকাল ৯টা নগাদ নিউ কোচবিহার স্টেশনে আসে। সেখানেই সকাল ১০টা নাগাদ বামনহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণের সূচনা হয়। এরপর ট্রেনটি সোয়া ১১টা নাগাদ বামনহাট স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানে আগে থেকেই বামনহাট রেল উন্নয়ন দাবি সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই রেলের আধিকারিকদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর বেলা সোয়া ১টায় ট্রেনটি বামনহাট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রেনটি প্রতিদিন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে ছাড়বে। পরেরদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বামনহাট স্টেশনে এসে পৌঁছবে। আবার বামনহাট থেকে দুপুর সোয়া ১টায় ছেড়ে পরের দিন ভোর সোয়া ৫টায় শিয়ালদহ পৌঁছবে।