দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
বাগডোগরার রেঞ্জের সমীরণ রাজ বলেন, মূলত খাবারের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচাপাতা হচ্ছে। আমরা কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি। তবে আমরা সকলকে বলছি, যাতে বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। বাড়ির চারপাশে রাতে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। রাতের দিকে চলাফেরা করলে দলবেঁধে যেতে হবে। প্রয়োজনে টিন বাজিয়ে চলাচল করতে হবে।
কার্শিয়াং ডিভিশনের অন্তর্গত বাগডোগরা বনাঞ্চলটি ৪০০ হেক্টর এলাকায় রয়েছে। সংরক্ষিত এই বনাঞ্চলে শাল, সেগুন গাছ আছে। এই বনাঞ্চলেই পাশেই বেশ কয়েকটি চা বাগান, বনবস্তি এমনকী বাগডোগরার মতো জনবসতিপূর্ণ জায়গা রয়েছে। সম্প্রতি জঙ্গল ছেড়ে চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে আসছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, গত ছ’মাসে কার্শিয়াং ডিভিশনের অন্তর্গত বাগডোগরা রেঞ্জে তিনটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। একটিকে চা বাগানের জলাধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি চিতাবাঘকে বাগানের জলাধারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত সপ্তাহেও ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গঙ্গারাম চা বাগানে একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়। তবে বনকর্মীদের কাছে এটাই স্বস্তি যে চিতাবাঘের হামলায় কোনও মানুষের প্রাণ যায়নি। বনদপ্তর জানিয়েছে, চা বাগান ও বনাঞ্চল সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে চিতাবাঘের আক্রমণে বেশ কিছু গোরু, ছাগল মরেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এলাকাতেও সম্প্রতি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়। চিতাবাঘের হামলায় গৃহপালিত পাশু, পাখি মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৮০০০ টাকা বনদপ্তর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। সম্প্রতি বাগডোগরা বিমানবন্দরের অদূরে দিগরাভিটায় বন্ধমুণি চা বাগানে একটি গোরু চিতাবাঘ খেয়ে নেয়। বনদপ্তরের দাবি, বর্তমানে কার্শিয়াং ডিভিশনের বাগডোগরা বনাঞ্চলে ২০টি চিতাবাঘ রয়েছে। বাগডোগরা রেঞ্জ সংলগ্ন ব্যাঙডুবি, কমলপুর, সিঙ্গিঝোরা, সন্ন্যাসীথান, কিরণচন্দ্র, মেরিভিউ, বেলগাছি, ত্রিরাণা চা বাগান আছে। বনাঞ্চল সংলগ্ন ২৫টি গ্রামের মানুষ চিতাবাঘের হামলায় আতঙ্কে রয়েছেন।