বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন রাজীববাবু কালিয়াগঞ্জ শহরে বুথ এজেন্টদের নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তিনি বুথ এজেন্টদের উদ্দেশে বলেন, কালিয়াগঞ্জের মানুষ তাদের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করতে চান। তাই বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটের দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বুথ আগলে থাকতে হবে। বিধায়ক প্রবীরবাবু বলেন, লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচনের পরিবেশ একদম আলাদা। এখানকার মানুষ তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে চায়। কিন্তু বিজেপি তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে নেমেছে। ওদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না।
শুক্রবার কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোড-শো করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই বনমন্ত্রী ও প্রবীরবাবু কালিয়াগঞ্জের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার শহর থেকে গ্রাম চষে ফেলেছেন। শুক্রবার হুডখোলা গাড়িতে করে প্রার্থীকে নিয়ে শহরের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তাঁরা ভোট প্রার্থনা করেন। এই প্রচারের সময় প্রচুর মানুষ বিবেকানন্দ মোড়ে ভিড় করেছিলেন। সেখানে মাইকে রাজীববাবু রাজবংশী ভাষায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। রাজ্যের মন্ত্রীর মুখে এখানকার মাটির মানুষের মুখের ভাষা শুনে করতালিতে এলাকা মুখরিত হয়। পথচলতি মানুষ অনেকেই এগিয়ে গিয়ে রাজীববাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আপনি বারবার কালিয়াগঞ্জে আসবেন। রাজীববাবু বলেন, আমার রাজবংশী ভাষা শুনতে খুব ভালো লাগে। আমি এখানে আসব এবং রাজবংশী ভাষা আরও ভালো করে শিখে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।
দলের প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এদিন রাজীববাবু মানুষের এই উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে নিজেও আপ্লুত হন। এদিন কালিয়াগঞ্জ শহরের একটি সভাকক্ষে দলের বুথ এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক করে রাজীববাবু কীভাবে বুথ সামলাতে হবে তার টিপস দেন। তৃণমূলের কর্মীরা তাতে মানসিক জোর পান। কর্মীরা তৃণমূল নেতৃত্বকে কথা দেন, তাঁরা ভোটের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বুথ আগলে পড়ে থাকবেন। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট একদম আলাদা সেটা রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতারাও বুঝতে পেরে তাঁরাও ভোটের দিন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁরা কর্মীদের একটা কথাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন, লোকসভা ভোটের ব্যবধানটা মাথায় রাখবেন না। এনআরসি ইস্যুতে মানুষ বিজেপির উপর চটে আছেন। তাঁরা সমস্ত হিসেব উল্টে দিতে তৈরি। শুধু বুথে পড়ে থেকে ভোটটা করান।