রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুরো কৃষি মার্কেটিং দপ্তর দেখে। এনিয়ে দ্রুত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এদিকে জেলা কৃষি মার্কেটিং দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত দত্ত বলেন, আমরা আলুর দামের বিষয়টি দেখি। শাকসব্জির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইন তৈরি হয়নি। যার কারণে আমরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে অবশ্যই এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বাজার ঘুরে জানা গিয়েছে, কৃষকদের কাছে কোনও সব্জি ব্যবসায়ীরা ২০ টাকা কেজি দর দিয়ে কেনার পর সাধারণ ক্রেতাদের কাছে তা ৪০ টাকা দিয়ে বিক্রি করছে। নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম তৈরি করায় জেলার বিভিন্ন বাজারে একই শাকসব্জি ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। মোটের উপর সব বাজারেই দাম চড়ে রয়েছে। দিনের পর দিন দাম বেড়ে যাওয়ায় ৫০০ টাকা দিয়ে বাজার করেও ব্যাগ ভর্তি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ না থাকায় জেলাবাসীরা ক্ষুব্ধ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে সব্জিবাজার চড়া রয়েছে। হেঁসেল চালাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, আগে ২০০-৩০০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার হয়ে যেত। এখন ৪০০-৫০০ টাকার বাজার করেও ব্যাগ ভর্তি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটতে নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে চলেছে। প্রশাসনের তরফে দাম নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পেয়ে গিয়েছে।
বালুরঘাটের বিভিন্ন বাজারে নতুন আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন ২০০-২৩০ টাকা, ফুলকপি ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, কোয়াশ ২৫-৩০ টাকা, মিষ্টি লাও ৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০-২০০ কেজি, পেঁয়াজ কলি ১০০ টাকা, গাজর ১০০, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লংকা ৬০-৮০ টাকা, পালংশাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা কেজি মুল্যে দৈনিক বাজারগুলিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে জানা গিয়েছে এই দামের অর্ধেক দামে ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে শাকসব্জি কিনছেন। চাষিরা ফসল ফলিয়ে সেভাবে লাভ তুলতে না পারলেও ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটে চলেছেন। মাঝেমধ্যে দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বচসা বেধে যাচ্ছে। শেষমেষ অবশ্য কোনও উপায় না থাকায় ক্রেতাদের বেশি দামেই সব্জি কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে এত দাম যে সব্জি ছোঁয়া যাচ্ছে না। দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনও ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীদের আরও পোয়াবারো হয়েছে। প্রশাসন পুরো বিষয় জেনেও কেন নিশ্চুপ রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষকে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করা দরকার।