বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ির ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে অলোকবাবু অন্যতম ছিলেন। তিনি শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অফিস সচিব ছিলেন। শহরের আশ্রমপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি কিডনির রোগে ভুগছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রেচার থেকে করিডরে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এদিন আন্দোলনে নেমেছে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। তাদের একটি প্রতিনিধি দল এদিন হাসপাতালে গিয়ে ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা এব্যাপারে হাসপাতালের সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অরূপরতন ঘোষ বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ অনুসারে, অলকবাবু স্ট্রেচার থেকে পড়ে যান। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। যে স্ট্রেচারে তাঁকে চাপানো হয়েছিল, সেই স্ট্রেচারের পায়া ভাঙা ছিল। এই ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। তাই ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যাঁদের গাফিলতিতে ওই ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই ক্রীড়া সংগঠরে মৃত্যুর পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বঃপ্রণদিতভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে চার জন প্রতিনিধি রয়েছেন। কিন্তু ওই কমিটি এখনও কোনও রিপোর্ট দাখিল করেনি। তাই হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার অবশ্য বলেন, মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের স্মারকলিপি পেয়েছি। তবে ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি আগেই গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীঘ্রই ওই কমিটি তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে বলে আশা করছি। তাছাড়া ওই ঘটনা নিয়ে মৃতের পরিবার থেকে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। কাজেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।