কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মঙ্গলবার ভূষণবাবু বলেন, ওই জায়গায় লাইট লাগানোর কথা আমাকে আগে কেউ জানায়নি। যারা আলোকিত করার জন্য সেখানে লাইট লাগিয়েছে তারা পুরসভাকে সেটা হস্তান্তরও করেনি। তাই বিদ্যুৎ দপ্তরে বিলের টাকা বকেয়া পড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে বিল না পাওয়ায় বিদ্যুৎ দপ্তর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এলাকায় রাতে অন্ধকার নামতেই বিষয়টি সমানে আসে। দিদি যখন বলেছেন, তখন খুব দ্রুত বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বর্তমানে কলকাতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই মমতার ওই সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু, ভূষণবাবু সেসময়ে মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই তিনি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান। এরপর মঙ্গলবারই তিনি জানান, বিদ্যুতের বিল নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তা অতি দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি এলাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের লাগানো আলোর বিল মেটানো নিয়ে পুরসভা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মধ্যে কিছু দিন ধরেই একটা টানাপোড়েন চলে। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিও হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও বিষয়টি যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে এসে এই বিষয়ে মন্তব্য করতেই তড়িঘড়ি ওই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নিলেন ভূষণবাবু।
ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভূষণ তোমাকেও বলি, পুরসভার কাজ ভালো করে করতে হবে। লাইটের জন্য তুমি আর রবি ঝগড়া করবে না। কে টাকা দেবে, তুমি না রবি, দল এসব কিন্তু দেখবে না। তুমি যখন পুরসভা চালাচ্ছ, ইট ইজ ইয়োর ডিউটি টু টেক কেয়ার। তোমরা ভাষণ দেবে, আর পার্টি বিষ গিলবে তা কখনও হতে পারে না। পার্টি কারোও জন্য বিষ গিলবে না।
কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে পুরসভার ওই এলাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর বেশকিছু হাই মাস্ট লাইট লাগিয়েছিল। সেই লাইট লাগানোর পরে স্বাভাবিকভাবেই কিছু দিন পর থেকে বিল আসা শুরু হয়। এর পরিমাণ একলক্ষ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু, ওই বিল কে মেটাবে তা নিয়ে পুরসভা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় সম্প্রতি সেখানকার বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার পুরসভা প্রথমে বলেছিল, ওই জায়গায় লাইট লাগানোর কথা তাদের জানানোই হয়নি। শুধু তাই নয়, লাইট লাগানোর পরে তা কেউ হস্তান্তরও করেনি। ফলে সমস্যাটি মেটানোও সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে শহরে হইচই শুরু হয়। এরই মধ্যে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রাসমেলায় অংশ নিতে কোচবিহারে আসেন। মেলায় অংশ নেওয়ার আগে তিনি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে হঠাৎই পুরসভার বিদ্যুতের বিল মেটানোর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। এরপরেই এদিন ভূষণবাবু ওই বিল মেটানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়ে দেন।