কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন মালদহের দলীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে সাধন পাণ্ডে আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন দলনেত্রী। কয়েক দিন আগেই দুঁদে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের মালদহের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দলীয় সভায় বলেন, শুভেন্দু দেখছে। তবে ওর অনেক ব্যস্ততা রয়েছে। এখন থেকে মালদহে দলের সংগঠন সরাসরি আমিও দেখব। পাশাপাশি মৌসমের উপরেও আস্থা রেখেছেন দলনেত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে দলনেত্রী বলেন, মৌসম হয়তো বয়সে অনেকের চেয়ে ছোট, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না মৌসম দুইবারের সাংসদ। একবার বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি হিসাবে সংগঠন পরিচালনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সুতরাং মৌসমের উপর আস্থা রেখেই ওর নেতৃত্বে আপনারা মালদহে সংগঠন পরিচালনা করুন।
ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির বাড়বাড়ন্ত রুখতে জেলা তৃণমূল আদিবাসী সেলের সভাপতি পদে পরিবর্তন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুনিয়া মুর্মুকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে। একই সঙ্গে সরানো হয়েছে জেলা তৃণমূল ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি রঞ্জন সিংহকেও। তাঁর জায়গায় আসছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেন।
প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক শুরুর আগে মালদহে তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সব নেতানেত্রীকে নিয়েই একান্তে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ওই বৈঠকে ছিলেন না দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূতনি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সাবিত্রী মিত্রকে সেখানে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। অন্যদিকে, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বক্তব্য, দলের জেলা সভানেত্রী তাঁকে ওই বৈঠকে থাকার কথা বলেননি।
এই দুইজন ছাড়া মৌসম নুর, মোয়াজ্জেম হোসেন, সমর মুখোপাধ্যায়, নীহার ঘোষ, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, বাবলা সরকার, সাবিনা ইয়াসমিন, দিপালী বিশ্বাস, অম্লান ভাদুড়ি সহ প্রায় ৩৫জন ডাক পেয়েছিলেন। ছিলেন ‘টিম মৌসমের’ কোর কমিটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও।
খুব দ্রুত ব্লক ও জেলা কমিটি তৈরি করে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্যও মৌসম নুরকে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের নিজের এলাকা উন্নয়ন নিয়েও তদ্বির করেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। দলনেত্রী বলেন, রাজ্য সরকার মালদহের জন্য অনেক কিছু করছে। আগামীতেও করবে। কিন্তু তোমরা সংগঠনটা ভালো করে করো। নির্বাচনে ভালো ফল করে দেখাও। তবেই আমরা আরও বেশি ঝাঁপিয়ে পড়ব। তবে যাই হোক, মালদহকে সাজিয়ে দিতে রাজ্য সরকার কোনও কার্পণ্য করবে না।
এদিন দুই পুরসভা’র অনাস্থা প্রসঙ্গে দলীয় নেতানেত্রীদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দলের নেতা কেউ নয়। দলের নেতা ঘাসফুল। দলের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে ঝাঁপাতে হবে। নীহার ঘোষ, বাবলা সরকার সহ পুরসভার সব কাউন্সিলারদের ঐক্যের আবহে পুরসভা পরিচালনার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দলের সুপ্রিমোর ভরসাস্থল হয়ে উঠতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মৌসম। তিনি বলেন, আমি বা আমরা কেউ নই, আমাদের একটিই পরিচয়, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমরা তাঁর নির্দেশেই চলব। দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মালদহের সংগঠন দেখার আশ্বাস দেওয়াতে যে দল চরম উজ্জীবিত তাও এদিন জানিয়ে দেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা নেতানেত্রীদের অনেকেই।