পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজে জেলা পিছিয়ে পড়েছে। মানুষের জন্য যে সুযোগ সুবিধা সরকারের তরফে প্রদান করা হয় তা সঠিকভাবে বণ্টন হচ্ছে না। যার কারণে এদিন সভার শুরু থেকে শেষপর্যন্ত জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে দাঁড় করিয়ে রেখে একের পর এক প্রকল্পের রিপোর্ট নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প কী তা জেলার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা জানেন না জেনেও বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে সবাইকে ট্রেনিং করার নির্দেশ দেন দপ্তরের প্রধান সচিবকে। জেলাশাসক সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে একা একা জেলায় কেন ঘুরছেন তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নিখিল নির্মলকে। তাঁকে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আর সময় নষ্ট করা যাবে না বলেও সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে পরে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, জেলার একাধিক উন্নয়ন নিয়ে জেলাশাসককে বলা হলেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেন না। যার কারণেই এমনটা হচ্ছে।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকের কাছে জানতে চান, ১০০ দিনের কাজে এই জেলা পিছিয়ে রয়েছে কেন? জেলাশাসক উত্তর দেন, নির্বাচনের কারণে তিন মাস কাজ হয়নি। আর কোনও সমস্যা নেই। দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুখে বলছেন সমস্যা নেই। রিপোর্ট আমার হাতে। সব মিলিয়ে নিচ্ছি। কোনও কাজ জেলায় হয়নি। এতো পুকুর খনন হলেও তাতে মাছ চাষ হচ্ছে না কেন? জেলায় ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনও বিলি হয়নি। আরও ক্যাম্প করে দিনে ১১ হাজার করে ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলির ব্যবস্থা করুন।
এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্যদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, জেলাশাসক সকলকে নিয়ে কাজ করছেন কি না। প্রশ্নের উত্তরে এক জেলা পরিষদের সদস্য দাবি করেন, জেলাশাসক কথা বলেই কাজ করেন। বাকিরা কোনও উত্তর না দেওয়ায় তাঁদের মনোভাব বুঝে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি বলেন, একা কেন করছেন? কাজ করতে না পারলে ছেড়ে দিন। এদিন বৈঠকে উপস্থিত অনেক জনপ্রতিনিধি সরকারের একাধিক প্রকল্পের বিষয়ে কিছু জানেন না জানতে পেরেও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন। তিনি ওইসব বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য এক প্রধান সচিবকে নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে এসে সরকারের সুযোগ সুবিধা পেতে হয়রানি হতে বলেও খবর যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সভায় তিনি প্রশাসনের আধিকারিকদের মানুষের হয়রানি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কারও ছোট সমস্যা থাকলেও তা দ্রুত সমাধান করার পরামর্শ দেন। এদিনের বৈঠকে জেলায় দ্রুত সরকারি হিমঘর তৈরির কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন।