বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, দলের নির্বাচিত ২১টি মণ্ডল সভাপতির নাম এখনও সরকারিভাবে ও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের ৪, ৯, ১৩ ও ১৮ নম্বর সহ বেশ কয়েকটি মণ্ডল সভাপতির নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। দলের ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আপত্তি তুলে সেই মণ্ডলের কর্মীরা সোমবার দলের জেলা পার্টি অফিসে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই সরকারিভাবে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে।
লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে তৃণমূলকে পরাজিত করেছিল বিজেপি। এবার ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করতে চাইছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তাই আলিপুরদুয়ারে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে দলের মণ্ডল কমিটিগুলির সভাপতি নির্বাচনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। মণ্ডলগুলির সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতেই জেলা সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ করতে চাইছে পদ্মফুল শিবির।
বিজেপির দলীয় নিয়ম অনুসারে জেলা সভাপতিদের মেয়াদ তিন বছর। দলের দুর্দিনে গুণধরবাবু একটানা ছ’বছর বিজেপির জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে জেলা সভাপতি হন গঙ্গাপ্রসাদবাবু। গঙ্গাপ্রসাদবাবুর আমলেই আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটে জিতেছে বিজেপি। গঙ্গাপ্রসাদবাবুর মেয়াদকালেই মাদারিহাট বিধানসভা আসনটিও জিতেছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের জন্য গঙ্গাপ্রসাদবাবুকে দল আরও এক বছর জেলা সভাপতি পদে রেখে দেয়। দলের বর্তমান বিদায়ী জেলা কমিটির সদস্যদের ও সদ্য সমাপ্ত ২১টি মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের মধ্যে অধিকাংশই গঙ্গাপ্রসাদবাবুর অনুগামী। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সমীকরণে দলের পরবর্তী জেলা সভাপতি হওয়ার সম্ভবনা বেশি গঙ্গাপ্রসাদবাবুরই। তাছাড়া, গঙ্গাপ্রসাদবাবু দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে পরবর্তী জেলা সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রাহুল সিনহা ঘনিষ্ঠ গুণধরবাবু অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন।
গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, দলের পরবর্তী জেলা সভাপতি কে হবেন, তা ঠিক করবে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। এনিয়ে আমার কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না।
দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুণধরবাবু বলেন, দল যাঁকে মনে করবে তাঁকেই পরবর্তী জেলা সভাপতি হিসেবে বেছে নেবে।
সরকারিভাবে মণ্ডল কমিটিগুলির সভাপতির নাম ঘোষণা না হওয়ার কারণ হিসেবে বিজেপির জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অজিত দাস বলেন, দল কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এই ব্যস্ততার জন্যই মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে। মণ্ডল কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে কোথাও কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে একটু আধটু কোথাও অসন্তোষ থাকতে পারে।
বিজেপি সূত্রে খবর, ২১টি মণ্ডল সভাপতি পদে দলের নব্যদের কারও জায়গাই হয়নি। তবে মণ্ডল কমিটির সদস্য পদে নব্যদের জায়গা দেওয়া হবে বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে।